• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

চট্টগ্রামে ৩৭৫ শয্যার ‘ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল’

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০১৯  

চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ৩৭৫ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক এবং বহুমুখী বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র ‘ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেড’ আগামী এক মাসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করবে। গতকাল দুপুরে হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড চেয়ারম্যান ও চিটাগাং আই ইনফারমারি এন্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স (সিইআইটিসি) ম্যানেজিং ট্রাস্ট্রি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের বোর্ড মেম্বার ও সিইআইটিসি ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এ মালেক, আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক সেলিম আহমেদ, হাসপাতালের এক্সিউটিভ ম্যানেজার রিয়াজ হোসেন, কমিশনিং কনসালটেন্ট  এড লি হ্যানসেন, ম্যানেজার (মার্কেটিং এন্ড পাবলিক রিলেশন) শেখ আবদুস সালাম প্রমুখ।   

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, ‘সাত একর জমিতে হাসপাতাল, নার্স, টেকনিশিয়ান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং যাবতীয় আনুষাঙ্গিক সেবা সম্বলিত ৫টি ভবন নিয়ে মোট ৬ লাখ ৬০ হাজার বর্গফুট জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হাসপাতালের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি বিখ্যাত স্থাপত্য সংস্থা এই হাসপাতালের মূল নকশা প্রণয়ন করে এবং একটি ইউরোপিয়ান কনস্যালটেন্ট গ্রুপ নকশানুযায়ী কাজ বাস্তবায়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন- প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি এবং বায়োমেডিকেল বিষয়ে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করেছে। হাসপাতাল বাস্তবায়নে তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে- সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, রোগীদের নিরাপত্তা এবং কর্মীদের নিরাপত্তা। এখানে রয়েছে উন্নতমানের সার্বক্ষণিক ইমার্জেন্সি সেবা, কার্ডিয়াক, ট্রান্সপ্ল্যান্ট, নিউরো, অর্থোপেডিক ও গাইনি অবসসহ ১৪টি মডিউলার অপারেশান থিয়েটার, আছে ১৬টি নার্স স্টেশন ও ৬২টি কনস্যালটেন্ট রুম সম্বলিত বহির্বিভাগ এবং আধুনিক মানসম্পন্ন ৬৪টি ক্রিটিকাল কেয়ার বেড। নবজাতকদের জন্য ৪৪ শয্যাবিশিষ্ট নিওনেটাল ইউনিট এবং ৮টি পেডিয়াট্রিক আইসিইউ।’

বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, ‘ভারতের বিখ্যাত নারায়ণা হেলথ এবং ইমপেরিয়াল যৌথভাবে কার্ডিয়াক সেন্টার পরিচালনা করবে। ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। রোগী ও স্বজনদের জন্য হাসপাতাল পরিধির মধ্যে থাকার সুব্যবস্থা থাকবে। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীদের জন্য ১০ শতাংশ শয্যা সংরক্ষিত আছে। পূর্ণাঙ্গ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা এবং হাসপাতাল জৈব বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য সরকারি নীতিমালা অনুসরণ, পরিবেশ সংরক্ষণ, হসপিটালিটি বিভাগের মাধ্যমে যাবতীয় সেবা প্রদানের ব্যবস্থা, হাসপাতালের সমস্ত ডাক্তার, নার্স এবং সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশে বিশেষ করে চট্টগ্রামে উন্নতমানের স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুলতার কারণে বহু সংখ্যক রোগী বিদেশে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে তাদেরকে আর্থিক, শারীরিক এবং মানসিক চাপের মুখে পড়তে হয়। এই অবস্থা থেকে কিছুটা পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ট্রাস্ট একটি আন্তর্জাতিক মানের জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। চট্টগ্রামের কিছু সমাজ সেবক এবং উদ্যোক্তা এই মহৎ উদ্যোগে সাড়া দিয়েছেন।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ