ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত, নড়াইলের গ্রামাঞ্চল বিদ্যুৎহীন

নড়াইলে শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর থেকে রাত অবধি কয়েক দফায় ঝড়ো হাওয়াসহ প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে প্রচুর পানি জমেছে নড়াইল পৌর এলাকাসহ জেলার খাল, বিল, পুকুর ও জলাশয়ে। অন্যদিকে ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় জনভোগান্তি বেড়ে যায়। প্রথম রোজাতেই নড়াইলের গ্রামাঞ্চলের মানুষকে বিদ্যুৎবিহীন সাহরি খেতে হয়েছে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শহরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হলেও গ্রামাঞ্চলে শনিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা পর্যন্ত সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এ কারণে প্রথম রোজায় সাহরির সময়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সবাই। 

কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন জানান, শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। এতে বেশির ভাগ মানুষের মোবাইল ফোনসহ বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র অচল হয়ে পড়েছে।

লোহাগড়া উপজেলার ঈশানগাতি গ্রামের আবেদা সুলতানা বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত কয়েকবার আসা-যাওয়া করলেও এরপর শনিবার সকাল পর্যন্ত এ এলাকায় আর বিদ্যুৎ পাইনি। এতে সাহরির সময়ে অনেক কষ্ট হয়েছে।'
নড়াইল সদরের চারিখাদা গ্রামের বাদশা আলমগীর জানান, শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে পেয়েছি।

এদিকে প্রচুর বৃষ্টি হলেও কাঁচা-পাকা বোরো ধানের তেমন একটা ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ। তবে নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে এবং খুঁটি হেলে পড়েছে। ছোট-বড় গাছ, ডালপালা ভেঙ্গেপড়ায় মৌসুমি ফলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জেলার কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিরও খবর পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় জানান, জেলায় গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৫ মিলিলিটার। এ বৃষ্টি ও বাতাসে বোরো ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং আউশ ধান ও পাটের জন্য বেশ ভালো হয়েছে।

এদিকে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা জানান, বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ও ডাল পড়ে তার ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।