• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

দীর্ঘ অপেক্ষার পর হোম অব ক্রিকেটে মুশফিকরা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২০  

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থেকেছেন ক্রিকেটাররা। সেই মার্চে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ড খেলেই তারা গৃহবন্দি হয়ে পড়েন। এরপর আর মাঠমুখো হতে পারেননি। প্রায় চার মাস পর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনে ফিরেছেন ঢাকায় বসবাসরত আগ্রহী ক্রিকেটাররা। অবশ্য করোনাকাল হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বলতে গেলে প্রায় লম্বা সময়ই মুশফিকরা সবুজ ঘাসের ছোঁয়া থেকে দূরে ছিলেন। বাসাতে টুকটাক ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন, তবে ব্যাট-বলের অনুশীলন ছিল একেবারেই বন্ধ। বিসিবি অবশ্য তাদের ফেরার আগে কিছু নিয়ম-নীতিও তৈরি করে দিয়েছিল। সেসব মেনে ক্রিকেটাররা অবশেষে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন শুরু করেছেন।

মিরপুর স্টেডিয়ামের চত্ত্বর রবিবার সকাল হতেই ক্রিকেটারদের জন্য প্রস্তুত ছিল। সকাল ৯টা থেকে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেন মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন। পেসার শফিউল ইসলাম অনুশীলন শুরু করেন সকাল সোয়া ১১টা থেকে।

অথচ মাসখানেক আগেও এসব অসম্ভবই মনে হচ্ছিল। বিসিবির কাছে মিরপুরে ব্যক্তিগত অনুশীলনের অনুমতি চেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিমসহ কয়েকজন শীর্ষ ক্রিকেটার। কিন্তু বিসিবি তাতে সায় দেয়নি। স্টেডিয়াম অঙ্গন জীবাণু মুক্ত না থাকায় কোনো প্রকারের ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি বিসিবি। তবে সব প্রক্রিয়া শেষ করেই তাদের ফেরানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে বিসিবি। এতে করে দেরিতে হলেও মুশফিক মাঠে ফিরতে পেরেছেন। যিনি কিনা ঐচ্ছিক অনুশীলনের দিনগুলোতেও মাঠ ছাড়া থাকতে পারেন না!
সেই মুশফিকই রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় রানিং শেষে ইনডোরে এক ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। যদিও প্রথম দিনের প্রস্তুতিটা শুরু হয়েছিল মোহাম্মদ মিঠুনকে দিয়েই। প্রায় এক ঘণ্টা ব্যাটিং শেষে জাতীয় একাডেমি মাঠে রানিং করেছেন তিনি। অন্যদিকে জাতীয় দলের পেসার শফিউল ইসলাম দিনের শুরুটা করেছেন রানিং দিয়ে। ঢাকায় বসবাসরত চার ক্রিকেটারের মধ্যে রবিবার তিনজন অনুশীলন করেছেন। সোমবার থেকে অনুশীলন শুরু করবেন ইমরুল কায়েস।

ইনডোর সুবিধা পেলেও ক্রিকেটাররা আপাতত আউটডোরে অনুশীলন সুবিধা পাবেন না। সূচি অনুযায়ী ক্রিকেটাররা পালাক্রমে এসে এই অনুশীলন চালিয়ে যাবেন। তবে তারা মিরপুর শেরে বাংলার সবুজ চত্ত্বরে রানিং করার সুযোগ পাচ্ছেন। ব্যাটিং অনুশীলন করবেন ইনডোরে। এছাড়া তাদের জিম সুবিধাও দেওয়া হবে।

তবে এসবক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব কিছু করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী, ‘স্বাস্থ্যবিধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। বিসিবি অনুশীলন ব্যবস্থাপনার খুঁটিনাটি সব কিছুই গুরুত্ব সহকারে দেখছে। তার প্রমাণ পাওয়া যায় সময়সূচি লক্ষ্য করলেই। প্রত্যেক ক্রিকেটারের অনুশীলন শেষে ন্যূনতম ২০ মিনিট সময় রাখা হয়েছে জীবাণুনাশক কার্যক্রম চালানোর জন্য।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ