• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

পাহাড়ে শুরু হয়েছে ‘ফুল ঝাড়ু’ সংগ্রহ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বাংলায় বলা হয় ‘উলুফুল’, স্থানীয় ভাষায় এটি ‘ফুল ঝাড়ু’ নামে অধিক পরিচিত। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হওয়া এই ফুল ঝাড়ু ঘরবাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিটি ঘরে, প্রতিদিনই ব্যবহৃত হচ্ছে।ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হওয়া এই পণ্যটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করার চেষ্টা চালাচ্ছে পাহাড়ের অনেক মানুষ। এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা গেলে পাহাড়ের অনেক মাানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আর্থসামাজিক অবস্থারও পরিবর্তন আসবে। এতে রাষ্ট্রেরও উল্লেখ যোগ্য রাজস্ব আয় হবে।পার্বত্যাঞ্চলের বিস্তৃর্ণ প্রতিটি পাহাড়ে এখন ফুল ঝাড়ু পরিপক্ষ হয়ে উঠছে। পাহাড়ের মানুষ এটি সংগ্রহ করে বাজারে নিয়ে আসছে বিক্রির উদ্দেশ্যে। চাহিদা থাকায় বাজারে এর দামও ভালো। বাজারে ফুল ঝাড়ুর চাহিদা দেখে কিছু জুম চাষী এটি আলাদাভাবে চাষাবাদ করার চিন্তা ভাবনা করছে। অথচ এখনো অধিকাংশই এটি উৎপাদিত হয় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে।জুম চাষীদের আগ্রহের কথা বিবেচনায় রেখে খাগড়াছড়ির স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ‘তৃণমূল’ একটি প্রকল্পের মাধ্যমে জুম চাষীদের নিয়ে ফুল ঝাড়ু বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। সীমিত আকারে হলেও এই উদ্যোগ বেশ ফলপ্রসু হয়েছে। জুমের সাথী ফসল হিসেবে ফুল ঝাড়ু চাষাবাদ করে জুমচাষীরা বেশ আশাবাদী হয়ে উঠছেন। বর্তমানে কিছু জুমচাষী জুমের সাথী ফসল হিসেবে ফুল ঝাড়ু চাষাবাদ করছেন।ফুল ঝাড়ুর ৮-১০টি কাঠি নিয়ে একটি বান্ডিল তৈরী করা হয়। বন বিভাগের ভাষায় এটির নাম ‘ভ্রুম’। খাগড়াছড়ি বন বিভাগ গত বছর সাড়ে ১৭ লক্ষ ভ্রুম থেকে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করেছে। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলে ভ্রুমের সংখ্যা ও রাজস্ব আদায় আরও বেড়ে যাবে।ফুল ঝাড়ু জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়। এটি চাষাবাদ করতে শুধুমাত্র ঝোপঝাড় পরিস্কার ও ফাঁকা স্থানগুলোতে এর চারা লাগিয়ে দিলেই চলে। এর জন্য সার, কীটনাশক কোন কিছুই প্রয়োজন হয় না।ফুল ঝাড়ু যদি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা হয়, তাহলে পাহাড়ের অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং জুম চাষীরাও লাভবান হবে বলে উন্নয়ন কর্মী ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা মতামত দিয়েছেন।যারা বাণিজ্যিকভাবে ফুল ঝাড়ু চাষাবাদ করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের অধিকাংশই জুমের সাথী ফসল হিসেবে চাষাবাদ করছে। জুমের সাথী ফসল হিসেবে ধরলে এটি জুমের শেষ ফসল হিসেবে তোলা হচ্ছে। জুম চাষীদের মাঝে এটি ছড়িয়ে দিতে পারলে ফুল ঝাড়ুর উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি জুম চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ