যেভাবে ৯১ ক্রীড়াবিদের পাশে তামিম

জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল খান অসহায় ৯১ ক্রীড়াবিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এককালিন আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

পত্র-পত্রিকায় টুকটাক খবর পড়ে তামিম বুঝে গিয়েছিলেন দেশের ক্রীড়াবিদদের বড় অংশ মহামহারি করোনাভাইরাসের সময়ে কষ্টে আছেন। বিশেষ করে জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনাজয়ী সামিউল ইসলামকে সাহায্যের পর তাঁর সঙ্গে কথা বলে তামিম স্পষ্ট ধারনা পান। এরপরই তামিম নিজ উদ্যোগে ক্রীড়াবিদদের খোঁজ নেওয়া শুরু করেন। তাঁর এ কার্যক্রমে সমন্বয়কারী ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বর্তমানে কোচ হিসেবে দায়িত্ব থাকা হুমায়ুন কবির শাহিন, ক্রিকেটার মিজানুর রহমান, জাতীয় ফুটবল দলের স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলম সবুজ, এস এ গেমসে সোনাজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন সহ আরও অনেকে।  সাথে ক্রীড়াঙ্গনে তামিমের কাছের মানুষরা ছিলেন।

তাঁরা জানালেন, প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ব্যাডমিন্টন, অ্যাথলেটিক্স, সাঁতারু, ভারোত্তোলক, হ্যান্ডবলসহ অন্যান্য সকল খেলার প্রায় ৯১ ক্রীড়াবিদের তালিকা তৈরি করা হয়। তামিমের শুরু থেকেই ইচ্ছা ছিল যতটা সম্ভব ক্রীড়াবিদদের সাহায্য করা। বিশেষ করে যারা অসহায় এবং মুখ ফুটে চাইতে পারছেন না তাঁদের নিরবে সাহায্য করা। এজন্য খুব কাছের মানুষদের দিয়েই খোঁজ নিয়েছেন তামিম যেন কোনোভাবেই কেউ সংকোচ না করে।

তামিমের উদ্দেশ্য ছিল সামর্থ্যবান হয়ে একই অঙ্গনের মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সেই কাজটাই তিনি করেছেন এবং চেয়েছেন বিষয়টি গণমাধ্যমে না আসুক। কিন্তু তামিমের সাহায্য পাওয়া একজন জোর গলায় বলেছেন,‘তামিম ভাই চেয়েছিলেন কোনোভাবেই যেন বিষয়টি গণমাধ্যমে না আসুক। কিন্তু আমরা চাই এটা আসুক। কারণ আমাদের ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের যেটা করার কথা ছিল সেটা তাঁরা করেনি। অথচ আমাদের অঙ্গনের কেউ না হয়ে তামিম ভাই ওই কাজটা করেছে। তাহলে কেন তাঁর কথা বলবো না।’

এর আগেও বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তামিম। বেতনের অর্ধেক টাকা দিয়ে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত ‍উদ্দ্যোগে সামিউলকে সাহায্য করেছেন। ক্রিকেটার নাজমুল ইসলাম অপুর ত্রাণ কার্যক্রমে তিন দফা আর্থিক সাহায্য করেছেন। সেচ্ছাসেবিকা নাফিসা খানের উদ্যোগে ঢাকার চার অঞ্চলের অসহায় মানুষদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে আর্থিক সহায়তা করেছেন তামিম।