• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

গঙ্গাঁ-পদ্মা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতা ও উৎসব

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২৪  

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরীর করতে গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী গঙ্গাঁ-পদ্মা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতা ও উৎসব। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ প্রতিযোগীতা ও উৎসবের আয়োজন করেছে। এ প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিযোগীরা অংশ নিচ্ছেন। এমন আয়োজন করার দুই দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে মনে করছেন সংস্কৃতিক প্রেমিরা। এ প্রতিযোগীতা ও উৎসব আগামীকাল শনিবার শেষ হবে।

জানাগেছে, কাঁটা তারের বেড়া দুই দেশকে বিভক্ত করলেও বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতি একই সূত্রে গাঁথা। তাই দুই দেশের সাংস্কৃতিচর্চা ও বন্ধন দৃঢ় করতে গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গঙ্গাঁ-পদ্মা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতা ও উৎসব।

আজ শুক্রবার(০১ মার্চ)দুপুরে জেলা শিল্পকলা একডেমির হল রুমে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এ প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ জোবায়ের আহমেদ। এ প্রতিযোগীতা বাংলাদেশ থেকে ৯০ জন ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০ জন করে মোট ১১০ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। এ প্রতিযোগীতায় শিল্পীরা নাচ, গান পরিবেশন করে তাদের প্রতিভা তুলে ধরছেন।

immage 1000 01 3

ভারতের পশ্চিম বঙ্গের নৃত্যমহল একাডেমির কর্ণধর সায়ন্তিকা দত্ত বলেন, ভারত বর্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে ছুটে এসেছি গঙ্গাঁ-পদ্মা উৎসব করতে। এটি এখন দুটি দেশের মধ্যে মিলন মেলা হয়েছে। আন্তরিকতা দুই দেশের মধ্যে সব সময় ছিল, এখন আমরা একটি মেলবন্ধন তৈরী করার চেষ্টা করছি। এতে দুই দেশের শিল্পী সংস্থা আরো জাগ্রত হবে।

নৃত্য পরিচালক এম আর ওয়াসিক বলেন, দুই দেশের ভাষা, সাংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস সবই একই। লালন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল সবই এক আমাদের। বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীরা অংশগ্রহন করায় দূই দেশের সাংস্কৃতি যেমন এগিয়ে যাবে তেমনি সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবার পশাপাশি কাঁটা তারের দূরত্ব কমে আসবে।

গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক খোন্দকার এহিয়া খালেদ সাদী বলেন, আমরাও বাঙ্গালী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ তারও বাঙ্গালী। তাদের মধ্যে শিল্প সংস্কৃতি অনেক পুরানো। ভারত থেকে যদি কোন দল আসে বা আমাদের কোন দল ভারতে যায় তাহলে তারা আমাদের ভালোটা এবং আমরা তাদের ভালোটা গ্রহন করবো। এতে আমাদের সাংস্কৃতি এগিয়ে যাবে।

immage 1000 02 2

আয়োজক সম্রাট হাজরা জানান, এ প্রতিযোগীতা বাংলাদেশ থেকে ৯০ জন ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০ জন মোট ১১০ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। এ জেলার শিল্পীরা যাতে ভারতের সাংস্কৃতি থেকে ভাল কিছু শিখে নিজেদের সাংস্কৃতিকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপশি বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারে সেজন্য এ প্রতিযোগীতা ও উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, এ আযোজন শুধু সাংস্কৃতি না দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। শুধু ব্যক্তি পয্যায়ে নয়, এমন আয়োজনে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা থাকা প্রয়োজন। আগামীতেও এমন আয়োজন করা হবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ