• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ডায়াবেটিক রোগীর জন্য উদ্ভাবিত ব্রি ১০৫ ধান

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

গোপালগঞ্জে গবেষণা মাঠে ডায়াবেটিক রোগীর জন্য উদ্ভাবিত ব্রি ধান ১০৫ আবাদে সাফল্য মিলেছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণা মাঠে ধানটি ডায়াবেটিক রাইস এক বিঘা জমিতে বীজ উৎপাদনের জন্য আবাদ করা হয়।

চলাতি বছরের মার্চে চাষের অনুমোদন পায় নতুন উদ্ভাবিত ধানটি। এর পর গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণা মাঠে ধানটি আবাদ করা হয়। এটি বোরো মৌসুমের ধান হলেও আমন মৌসুমে বীজ হিসেবে চাষ করা হয়েছে।

এতে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ব্রি গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও বাগেরহাট জেলার ধানের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করি। আমাদের গবেষণা মাঠে উৎপাদিত ব্রি ধান ১০৫ এর বীজ দিয়ে আসন্ন বোরো মৌসুমে তিন জেলায় কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেব।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ব্রির সর্বশেষ জাত হলো ব্রি ধান ১০৫। একটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সম্পন্ন ডায়াবেটিক ধান। এর আন্তর্জাতিক ভ্যালু ৫৫ ভাগের কম। তাই ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এ ধানের চালের ভাত নিরাপদ। ভাত এ দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য। কিন্তু দেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগীর কথা চিন্তা করে ব্রির বিজ্ঞানীরা জাতটি উদ্ভাবন করেছেন। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা এ ধানের চালের ভাত নিরাপদ মনে করে খেতে পারবেন। লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সম্পন্ন এ ধানের চালের ভাত খেলে ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে শর্করা কমে যাবে। ব্রির প্রধান কার্যালয়ে পুষ্টি গবেষণা বিভাগের পরীক্ষায় ব্রি ধান ১০৫-এর পুষ্টিমান নির্ণয় করা হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবড়ির উপপরিচালক আ. কাদের সরদার বলেন, ব্রি ধান ১০৫ ডায়াবেটিক রাইসের পর্যাপ্ত বীজ পেলে গোপালগঞ্জ জেলায় সম্প্রসারণ করা হবে।

ব্রি গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাস জানান, নতুন উদ্ভাবিত জাতের মধ্যে ব্রি-১০৫ বোরো মৌসুমের একটি কম জিআই সম্পন্ন ডায়াবেটিক ধান। গড় ফলন হেক্টরে ৭ দশমিক ৬ টন। তবে উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টর প্রতি ৮ দশমিক ৫ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। এর জীবনকাল ১৪৮ দিন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ