• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ঢাকায় মান্না দে’র জন্মশতবর্ষ উদযাপন

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৯  

উপমহাদেশের অন্যতম খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী মান্না দে’র জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার (আইজিসিসি)। 

শুক্রবার গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ইন্দিরা গান্ধী কালচালারাল সেন্টারে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এই অনুষ্ঠানে মান্না দে স্মরণে মিউজিক্যাল ট্রিবিউট হিসেবে ভারতীয় সংগীত শিল্পী ডা. অমিতাভ চন্দ, বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী মৃদুলা সমাদ্দার এবং আবৃত্তি শিল্পী সামিউল ইসলাম পোলাকের পরিবেশনা থাকবে।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার মান্না দে ১৯১৯ সালের ১ মে জন্মগ্রহণ করেন। আর ২৪শে অক্টোবর ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুতে মৃত্যুবরণ করেন। তার প্রকৃত নাম প্রবোধ চন্দ্র দে। ১৯৪৩ সালে ‘তামান্না’ চলচ্চিত্রে গায়ক হিসেবে মান্না দে’র অভিষেক। তিনি ৬০ বছরেরও অধিক সময় সংগীতচর্চা করেছেন। 

মান্না দে’র গাওয়া জনপ্রিয় সঙ্গীতগুলোর মধ্যে কফি হাউজের সেই আড্ডাটা, আবার হবে তো দেখা, এই কূলে আমি, আর ওই কূলে তুমি, যদি কাগজে লেখো নাম, জিন্দেগী এয়সি এক পহেলি হ্যয় উল্লেখযোগ্য। 

গায়ক হিসেবে মান্না দে আধুনিক বাংলা গানের জগতে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ও সফল সংগীত ব্যক্তিত্ব। হিন্দি ও বাংলা সিনেমায় প্লেব্যাক গায়ক হিসেবেও দেখিয়েছেন নিজের কৃতিত্ব।

সংগীত জীবনে তিনি সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন। বৈচিত্র্যের বিচারে তাকে হিন্দি গানের ভুবনে সবর্কালের সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকার করে থাকেন অনেক সংগীতবোদ্ধারা।  এছাড়া হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ অজস্র ভাষায় সংগীত চর্চা করেছেন। 

সংগীত ভুবনে মান্না দে’র এ অসামান্য অবদানের জন্য ভারত সরকার ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৭ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননায় অভিষিক্ত করে। এছাড়াও ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে রাজ্যের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’ প্রদান করে। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ