• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে মুরগি ও আদা-রসুনের দাম

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে আবার বেড়েছে মুরগি, আদা, রসুন ও পিঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি  মুরগির মাংসের দাম ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা ও পিঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা দরে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হয়েছিলো ১৪৫ টাকায়। এখনও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ।

তবে বাজারগুলোতে শীতের সবজির শেষ হতে না হতেই আগাম পাওয়া যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। আগাম সবজির দাম বেশি হলেও স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য সবজির দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল, ডিম, চিনি, আটা, গুঁড়া দুধসহ সব ধরনের মুদি পণ্যের দাম।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সুত্রাপুর, নয়াবাজার, রায়সাহেব বাজার, শ্যামবাজার, সেগুন বাগিচাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকায়। লেয়ার মুরগি ২০০ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়। কক মুরগি (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা পিস। আর পাকিস্তানি মুরগি মাঝারি সাইজের বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। বড় মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়। দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। যা আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। 

এছাড়া সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে পিঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম। দেশি পিঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজ ২২ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। রসুন ১০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা, আদা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মুরগি ব্যবসায়ী খোকন জানান, বেশ কিছুদিন মুরগির দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু বিয়ে ও পিকনিককে কেন্দ্র করে হঠাৎ মুরগির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই মুরগির দাম বাড়তি। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে দেশি ও পাকিস্তানি মুরগির দাম।

মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে ডিম, গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস আগের মতোই ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ৬৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিম প্রতি ডজন ৯৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৭০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগাম সবজির মধ্যে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা। এছাড়া শীতের সবজি লাউ মান ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ১৫ থেকে ২০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি ১০ থেকে ১৫ টাকা পিস, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২৫ টাকা পিস, শালগম ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি এবং মূলা ১০ থেকে ২০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, নতুন আলুর ১৫ টাকা, কাঁচামরিচের ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সবধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১৫ টাকা আঁটি। 

সবজি ব্যবসায়ী প্রশান্ত সাহা বলেন, বাজারে এখন সব ধরনের শীতের সবজি ভরপুর রয়েছে। যে কারণে সবজির দাম তুলনামূলক কম। শীতের সবজি শেষ হয়ে এলেই আবার সবজির দাম বেড়ে যাবে। বর্তমানে আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজি পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশি।

এদিকে গত সপ্তাহের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। রুই মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি। পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০থেকে ৫০০ টাকা কেজি। টেংরা মাছের কেজি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইলা মাছ ৭০০টাকা, বাইম ৬০০ টাকা, পোয়া ৫০০ টাকা, মলা ৪০০ টাকা, খল্লা ৩৫০ টাকা, সোল ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে ইলিশের দাম বেড়েছে হালিতে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা। 

অপরিবর্তিত রয়েছে মুদিপণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, চিনি আমদানিকৃত ৫০, ডাল ৪০ থেকে ৯০, লবণ ৩০ থেকে ৩৫, পোলাও চাল ৯০ থেকে ৯৫। খোলা সোয়াবিন তেল ৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫০ টাকা, সরিষার তেল লিটার ১২০ টাকা।

এদিকে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের চাল। তবে মোটা চালের দাম কেজিতে ১ টাকা কমেছে। নাজির ৫৮  থেকে ৬০ টাকা। মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ