তামাক ছেড়ে ফুল চাষে ঝুঁকছেন তারা
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
কক্সবাজারের চকরিয়ায় আগে তামাক চাষ বেশি জনপ্রিয় ছিল। তামাকের জমিতেই অল্প আকারে ফুল চাষ হতো। তবে পরিমাণে কম। কিন্তু দিন দিন চাষিরা তামাকের ছেড়ে ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। চাষিরা জানিয়েছেন, ফুল চাষ তামাকের চেয়ে লাভজনক।
চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মোহাম্মদ নাসির এক সময় তামাকের চাষ করতেন। এখন তিনি গোলাপ চাষ করছেন। তিনি বলেন, ‘আগে আমি তামাক চাষ করতাম। এখন গোলাপ চাষ করছি। লাভজনক হওয়ায় গোলাপ চাষই ভালো লাগে। তামাকে ৬ মাস লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু একবার গোলাপের চারা লাগালে ৩-৪ বছর সেই গাছের ফুল বিক্রি করে লাভ করা যায়।’
ফুল চাষি ফজলুল কবির বলেন, ‘তামাকের কারণে পরিবেশের ক্ষতি যেমন হয় তেমনি মানুষ অসুস্থও হয়ে পড়ে। তাছাড়া তামাক চুল্লিতে বনের কাঠ পোড়ানো হয়। ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের, ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে পাহাড়ও।’অনেক চাষি জানিয়েছেন, তামাক কোম্পানিগুলোর নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিলেও নানা কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এছাড়া গ্রেডিং পদ্ধতির কারণে তামাকের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। কোম্পানিগুলোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গেলে তারা তামাক কেনে না। ফলে তামাক চাষের জন্য নেওয়া ঋণের ফাঁদে পড়ে গ্রামছাড়া হয়েছেন অনেক তামাক চাষি। তাই বিকল্প হিসেবে তারা ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন তারা।
তামাক চাষি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কোম্পানির পক্ষ থেকে যতগুলো তামাক কেনার কথা ছিল তা নাকি শেষ হয়ে গেছে। এতে আমরা লোকসানে পড়েছি। অবিক্রিত তামাক নদীতে ফেলে দিতে হয়েছে। এছাড়া ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পেরে অনেকে দেশান্তরি হয়েছেন।’
গোলাপ চাষি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘তামাকের চেয়ে গোলাপ চাষ অনেক ভালো ও লাভজনক। একজনে যদি না কেনে আরেকজনের কাছে আমরা ফুল বিক্রি করতে পারি। তামাক কিন্তু আমরা বিক্রি করতে পারি না।’মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আগে অনেক তামাক চাষ করতাম। প্রায় ৪-৫ একরে তামাক চাষ করতাম, এখন কমিয়ে ফেলছি। চাষের খরচ আর আয়ে অনেক ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এখন বিকল্প হিসেবে গোলাপ চাষকেই বেছে নিয়েছি।’
সরকার ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো তামাকের বিকল্প চাষে কৃষকদের উদ্বুব্ধ করতে শুরু করেছে নানা কার্যক্রম ও পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে এনজিওগুলো।
এ ব্যাপারে এনজিও ইপসার প্রধান নিবার্হী আরিফুর রহমান বলেন, ‘সব তামাক চাষিকে আমরা উদ্ধুব্ধ করবো যাতে করে তারা তামাকের বিকল্প ফসলগুলো চাষ করে। এছাড়া আমাদের টার্গেট হচ্ছে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া।’তবে আইন অমান্য করে চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর তীর ঘেঁষে এখনও চলছে তামাক চাষ। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে তামাক চাষিদের পরিসংখ্যান নিয়ে রয়েছে বেশ লুকোচুরি। কিছু কিছু জমিতে তামাকের বিকল্প ফসল চাষ হলেও থামছে না তামাকের আগ্রাসন। চাষিরা আটকে যাচ্ছেন তামাক কোম্পানিগুলোর বিপণন কৌশল ও নগদ প্রলোভনে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, ‘কক্সবাজারের যে অঞ্চলগুলোয় বর্তমানে ফুলের চাষ হচ্ছে সেখানেই কিন্তু তামাকের জমি ছিল। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের উদ্বুব্ধ করছি তারা যেন তামাকের বদলে লাভজনক ফুল কিংবা সবজি চাষ করেন। এতে আয়ও হবে, পরিবেশও বাঁচানো যাবে।’
তিনি আরও বলেন, তামাকের চুল্লি থেকে পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি চাষিরা বুঝতে শুরু করেছে। এভাবে চললে আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে কক্সবাজার থেকে সম্পূর্ণরূপে তামাক চাষ নির্মূল করতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কৃষি বিভাগ।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়ার বরইলী ইউনিয়নে তামাকের পরিবর্তে চলতি বছর ৭৬ হেক্টর জমিতে গোলাপ, ২৮ হেক্টরে গ্লাডিওলাস এবং আরও ১৬ হেক্টরসহ মোট ১২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চাষ করছেন পাঁচ শতাধিক চাষি।
চাষিরা জানান, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় গোলাপ প্রতি দাম মানভেদে পাইকারি তিন-চার টাকা ও গ্লাডিওলাসের স্টিক ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
- আদালতে ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই সাক্ষ্য দিলেন পর্ন তারকা
- মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
- উপজেলা নির্বাচন: সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- আ. লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে
- গাজাইস্যুতে পশ্চিমারা নিছকভণ্ডামি করছে:মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি আরব বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম
- প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত
- শ্যামলকে শপথ পড়ালেন প্রধানমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ-সমাবেশ
- অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধে কাজ শুরু
- উপজেলা নির্বাচন
১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ - তৃতীয় দিনেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুন্দরবনের আগুন
- গোপালগঞ্জে জাল টাকাসহ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
- ছয় বিভাগে হতে পারে কালবৈশাখী, তাপমাত্রা কমতে পারে ৩ ডিগ্রি
- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস
- মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকাই কাল হলো সাগরের
- আল্লাহর পরিচয় জানা মানুষের প্রধান দায়িত্ব
- বাগেরহাটে জাল টাকা ক্রয় বিক্রয়ের অভিযোগে দুই যুবক আটক
- গাজায় বাড়ছে সংক্রামক ব্যাধি, উচ্চ ঝুঁকিতে শিশুরা
- সুন্দরবনের আগুন নেভাতে নৌ ও বিমান বাহিনী
- মানুষের হারানো আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে সেনাবাহিনী:প্রধানমন্ত্রী
- কাশিয়ানীতে সরকারী জমিতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা বিজিএমইএ-এর কমিটির
- প্রাকৃতিক গ্যাস আসার খবরে গোপালগঞ্জবাসী খুশি
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- শৈশবের বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠলেন মাশরাফি
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- গোপালগঞ্জে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৪০