• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

অ্যালার্জির চিকিৎসা ও প্রতিরোধে বিভিন্ন জীবাণুর ব্যবহার

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

মাঠপর্যায়ে ও গবেষণাগারের বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, কিছু জীবাণু প্রয়োগ করে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করা সম্ভব। ইতোমধ্যে বাজারে এ ধরনের কিছু ওষুধ ছাড়া হয়েছে। লিখেছেন ডা: গোবিন্দ চন্দ্র দাস

ইউরোপিয়ান অ্যাকাডেমি অব অ্যালার্গোলজি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজি একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। টাস্কফোর্সের কাজ হবে, ইতোমধ্যে অধিক গবেষণা কর্মগুলোর ফলাফল পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ গবেষণার রূপরেখা প্রণয়ন করা।

এই টাস্কফোর্স অ্যালার্জি চিকিৎসায় ব্যাকটেরিয়াল এক্সট্রাক্ট বা নির্যাস, প্রোবায়োটিক, মাইক্রোব্যাকটেরিয়া, অলিগোডিস অক্সিলিউক্লিওটাইড এবং লাইপোপলি স্যাকারাইড থেকে প্রস্তুতকৃত উপাদানগুলো আলাদা আলাদাভাবে পরীক্ষা করে দেখছে।

ব্যাকটেরিয়াল এক্সট্রাক্ট বা নির্যাস 
কয়েকটি পরিচিত ব্যাকটেরিয়া শ্বাসতন্ত্র এবং রেচনতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। সেসব ব্যাকটেরিয়ার সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে এ ওষুধ। জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া আবার কিছু ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার গাত্রাবরণের লেগে থাকা প্রোটিন, যাকে লাইসেট বলা হয়। প্রথমে তৈরি করা হয়েছিল ত্বকের নিচে পুশ করার ইনজেকশন। এখন তৈরি করা হচ্ছে মুখে খাওয়ার ওষুধ।

দেখা গেছে, এসব ওষুধ খাওয়ার পর রোগীর রক্তে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক উপাদানের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া বেড়েছে আইজিজির পরিমাণ এবং কমেছে আইজিইর পরিমাণ। এই পর্যবেক্ষণগুলো প্রমাণ করেছে অ্যালার্জি চিকিৎসায় ব্যাকটেরিয়ার নির্যাস কার্যকর। এর ফলে শ্বাসতন্ত্রের কোষগুলো রোগ প্রতিরোধের বাড়তি ক্ষমতা লাভ করে। ফলে রাইনোসাইনোসাইটিস এবং অ্যাজমার প্রকোপ কমে যায়।
১২০ জন এ ধরনের রোগীকে তিন বছর ধরে মুখে খাওয়ার ওষুধ দেয়ায় পর দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ৭৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। এই পরীক্ষা করা হয়েছিল দুই থেকে আট বছর বয়সের শিশুদের নিয়ে। ফলাফল খুবই সন্তোষজনক। সুস্থ হয়ে উঠেছিল ৮৪ শতাংশ শিশু। এ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। পরিপাকতন্ত্রের কিছু সমস্যা হলেও তা খুব সহজেই নিরাময়যোগ্য।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ