কলোস্টমি কেন করা হয়
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
মলত্যাগের পথ অর্থাৎ পায়ুুপথ ও মলদ্বার যখন কোনো রোগে নষ্ট হয়ে যায় তখন অপারেশন করে এই অংশটি কেটে ফেলে দিতে হয়। তারপর খাদ্যনালীর অবশিষ্ট অংশকে পেটের সাথে লাগিয়ে দেয়া হয়- যেখান থেকে পায়খানা বের হবে।
ব্যাগ লাগানোর নিয়ম
কলোস্টমির স্থানটির পাশের (৭-৮ সেমি/৩ ইঞ্চি) বেশ কিছু জায়গা পানি বা স্পিরিট দিয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে ফেলতে হবে। চামড়ার ওপর যেন কোনোরূপ ময়লা না থাকে। এরপর যে অংশটি গায়ে লেগে থাকে সেটির মাঝখানের অংশটি কলোস্টমির আকৃতি অনুযায়ী কাটতে হবে। আঠাল অংশের ওপর একটি পাতলা কাগজ লাগানো থাকে তা উঠিয়ে ফেলতে হবে। মাঝখানে কাটা অংশের ভেতর দিকে চতুর্দিকে কলোস্টমি পেস্ট লাগাতে হবে। এরপর ওয়েফারটি পেটের সাথে লাগিয়ে এক মিনিট চেপে রাখতে হবে। কলোস্টমি ব্যাগটি এবার ওয়েফারের সাথে চাপ দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে। এই ব্যাগটি কখনো কখনো খুলে বাথরুমে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি একজন কলোস্টমি কেয়ার নার্স আপনাকে দেখিয়ে দেবেন। যাদের স্থায়ী কলোস্টমি তাদের কখনো কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়। অনেকের বছরের পর বছর কোনো সমস্যা হয় না।
রোগীদের ভুল ধারণা
সাধারণ মানুষ মনে করেন, ব্যাগ লাগানো হলে তিনি আর কোনো কাজ করতে পারবেন না। রোগীদের জিজ্ঞাসা ব্যাগ লাগালে কয় দিন বাঁচব। আসলে ব্যাগ লাগানোর সাথে বাঁচা মরার কোনো যোগাযোগ নেই। রোগীর মৃত্যু হতে পারে ক্যান্সারের কারণে।
ব্যাগ লাগালে স্বাভাবিক কাজ করতে পারবেন কিনা?
সব ধরনের কাজ করতে পারবেন।
স্বামী-স্ত্রীর সাথে মেলামেশায় কোনোরূপ নিষেধ নেই। সন্তান ধারণেও কোনো নিষেধ নেই। অপারেশনের আগে সবাই খুব মন খারাপ করেন। এক থেকে দুই মাস পর রোগীদের যখন জিজ্ঞাসা করি আপনার কী কী অসুবিধা হয়, তখন প্রায় সবাই বলেন তেমন কোনো অসুবিধা হয় না।
কিছু কিছু খাবার বেশি গ্যাস তৈরি করে এবং দুর্গন্ধ বাড়ায় এমন খাবার খাওয়া উচিত নয়। যেমন- পেঁয়াজ, রসুন (অল্প খাবেন), ডিম, ফুলকপি, মুলা ইত্যাদি।
পৃথিবীতে বহু রোগী আছেন যাদের পেটে ব্যাগ লাগানো হয়েছে। তারা সবাই মোটামুটি স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। তবে আমার কথা এই যে, এখন অত্যাধুনিক স্ট্যাপলিং পদ্ধতির কারণে খুব কম সংখ্যক রোগীর পেটে ব্যাগ লাগাতে হয়।
কলোস্টমি পরিচর্যা- ইরিগেশন পদ্ধতি
কলোস্টমি রোগীরা সাধারণ কলোস্টমি ব্যাগ পেটের ওয়ালের সাথে লাগিয়ে রাখেন, যার মধ্যে মাঝে মধ্যে পায়খানা ও গ্যাস জমা হয়। এ পদ্ধতির অসুবিধা হলো দিনে তিন-চার বার এটি পরিষ্কার করতে হয়। আমাদের খাদ্যনালীর মল জমা থাকে এবং প্রাকৃতিক নিয়মে খাদ্যনালী স্বয়ংক্রিয়ভাবে এগুলো বের করে দেয়। ইরিগেশন পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক নিয়মের ওপর নির্ভর করা হয় না। বিশেষ ধরনের একটি ব্যাগের ভেতর দুই লিটার সিদ্ধ পানি ভরে একটি পাইপের সাহায্যে কলোস্টমির মুখ দিয়ে খাদ্যনালীর ভেতর ঢুকাতে হয়। এতে পায়খানা নরম হয় এবং খাদ্যনালীর বিশেষ ধরনের প্যারিসটালটিক মুভমেন্টের মাধ্যমে ভেতরের পায়খানা বেরিয়ে আসে। এই কাজটি টয়লেটের ভেতর করতে হবে। পাইপের একটি অংশ ‘ড্রেনেজ পাইপ’ হিসেবে কাজ করে। যার মাধ্যমে পায়খানা পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে এবং টয়লেটে চলে যাবে। এ কাজের জন্য একটি ব্যাগ ও একটি বিশেষ ধরনের যন্ত্র দরকার যাতে একটি ব্যাগ ও একটি পাইপ থাকে যার নাম ইরিগেশন সেট। এ কাজটি সমাধা করতে রোগীর ৩০-৪৫ মিনিট লাগে। এরপর তিনি গোসল সেরে সকালে কাজে বের হবেন। এতে রোগীর আগামী ২৪ ঘণ্টায় আর কোনো পায়খানা বা বায়ু এ পথে বের হবে না। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার জন্য রোগী টেনশনমুক্ত থাকতে পারেন। এরপর কোনো কলোস্টমি ব্যাগ না লাগালেও রোগীর কোনোরূপ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে কলোস্টমির মুখটি একটি প্লাগ দিয়ে বন্ধ করা যায়। যাতে অনাকাক্সিক্ষত কোনো কিছু বেরিয়ে আসতে না পারে। এ পদ্ধতি যে রোগীরা ব্যবহার করছেন তারা খুবই উপকৃত হয়েছেন।
- আদালতে ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই সাক্ষ্য দিলেন পর্ন তারকা
- মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
- উপজেলা নির্বাচন: সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- আ. লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে
- গাজাইস্যুতে পশ্চিমারা নিছকভণ্ডামি করছে:মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি আরব বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম
- প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত
- শ্যামলকে শপথ পড়ালেন প্রধানমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ-সমাবেশ
- অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধে কাজ শুরু
- উপজেলা নির্বাচন
১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ - তৃতীয় দিনেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুন্দরবনের আগুন
- গোপালগঞ্জে জাল টাকাসহ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
- ছয় বিভাগে হতে পারে কালবৈশাখী, তাপমাত্রা কমতে পারে ৩ ডিগ্রি
- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস
- মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকাই কাল হলো সাগরের
- আল্লাহর পরিচয় জানা মানুষের প্রধান দায়িত্ব
- বাগেরহাটে জাল টাকা ক্রয় বিক্রয়ের অভিযোগে দুই যুবক আটক
- গাজায় বাড়ছে সংক্রামক ব্যাধি, উচ্চ ঝুঁকিতে শিশুরা
- সুন্দরবনের আগুন নেভাতে নৌ ও বিমান বাহিনী
- মানুষের হারানো আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে সেনাবাহিনী:প্রধানমন্ত্রী
- কাশিয়ানীতে সরকারী জমিতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা বিজিএমইএ-এর কমিটির
- প্রাকৃতিক গ্যাস আসার খবরে গোপালগঞ্জবাসী খুশি
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- শৈশবের বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠলেন মাশরাফি
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- গোপালগঞ্জে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৪০