• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

তানিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার বাস চালকের

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১২ মে ২০১৯  

কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে স্বর্ণলতা বাসের চালক নূরুজ্জামান নুরু। 

শনিবার (১১ মে) রাতে তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে তিনি তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

রোববার (১২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান।

রোববার (১২ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে কিশোরগঞ্জ পুলিশ অফিসে এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে বুধবার (৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল-মামুন রিমান্ড শুনানি শেষে পাঁচ আসামির প্রত্যেকের আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন-গাজীরপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সালুয়াটেকি গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু (৩৯), একই উপজেলার বীরউজলী গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে বাসের হেলপার লালন মিয়া (৩২) একই উপজেলার লোহাদী গ্রামের নজর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক (৩০), কটিয়াদী উপজেলার ভোগপাড়া এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৩৮) এবং বাজিতপুর উপজেলার নীলক্ষি গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদ ভূঁইয়ার ছেলে বকুল মিয়া ওরফে ল্যাংড়া বকুল (৫০)।

মঙ্গলবার (৭ মে) দিনগত রাতে নিহত তানিয়ার বাবা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে চার জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বাজিতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে ওই তরুণীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. রমজান মাহমুদ জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও আঘাতজনিত কারণে ওই তরুণীর মৃত্যুর আলামত পাওয়া গেছে।এছাড়া ডিএনএ ও প্যাথলজিক্যাল টেস্টের জন্য আলামত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ওইদিন তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড ওই তরুণীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। পরে রাতেই তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তানিয়ার বড় ভাই মরদেহ বুঝে নেন।
 
সোমবার (৬ মে) রাতে শাহিনুর আক্তার ওরফে তানিয়া ঢাকা থেকে বাসে করে বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার গজারিয়া-জামতলী এলাকায় ওই তরুণী ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

এ ঘটনায় বাসের চালক নূরুজ্জামান ও হেলপার (সহকারী) লালন মিয়াসহ মোট পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।

নিহত তানিয়া উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ