• মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩০ ১৪৩১

  • || ০৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার, আরও থাকতে পারে: আইজিপি

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের কয়েকটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শেষ খবর (সকাল সাড়ে ৯টা) পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, মৃতে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যেহেতু এখানে কেমিক্যাল গোডাউন, প্রচুর রাসায়নিক পদার্থ ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আশঙ্কা ছিল আশপাশে আরও বেশি ছড়িয়ে যাওয়ার।

আইজিপি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের কারণে তা ‘নিয়ন্ত্রণে’ আনা গেছে। এখন পুরো ভবন খুঁজে দেখা হচ্ছে আর কোনো মৃতদেহ রয়েছে কি না। আমরা মনে করছি, আরও কয়েকজনের মৃতদেহ থাকতে পারে। পুরো ভবনটি খুঁজে দেখার পর তা বোঝা যাবে।

জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, একদিকে তো সেখানে রাসায়নিক গুদাম, তার ওপর ওই ভবনের সামনে কয়েকটি গাড়ি ছিল, যেগুলো গ্যাসে চলে। আগুনের কারণে গাড়িগুলো বিস্ফোরিত হয়। আরেকটি গাড়ি ছিল, যার ভেতর ছিল অনেকগুলো সিলিন্ডার। ওই সিলিন্ডার হয়তো আশপাশের বাড়িতে ও হোটেলে গ্যাস সরবরাহের জন্য ছিল। ওই গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এ কারণে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেড়ে যায়। আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পড়ে।

‘ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করছে। এ ছাড়া তিনটি হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর থেকে পানি দেওয়া হয় আগুন নেভানোর জন্য’।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, আমি মনে করি এ ধরনের আবাসিক ও জনবহুল এলাকার মধ্যে কেমিক্যাল গোডাউন থাকা উচিত না। এখনই সময় এগুলো সরিয়ে নেওয়ার।’

এ সময় সাংবাদিকেরা পুলিশ এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা রাখবে কি না, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলোর ক্ষেত্রে অনেকগুলো পক্ষ কাজ করে। পুলিশ তো অবশ্যই ভূমিকা রাখবে, কাজ করবে। তবে তার আগে পরিবেশ অধিদফতর, সিটি করপোরেশন এবং সরকারের যে অন্যান্য দফতর আছে, যারা এগুলো মনিটর করে, তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরানোর। এগুলো সরানোর কাজ এখনই শুরু করা উচিত।

এসময় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ