বঙ্গবন্ধু মাথাপিছু আয় সাড়ে তিন বছরেই ২৭৮ ডলারে নিয়ে যান
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২১
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘১৯৭২ সালে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে। তখন মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯৩ ডলার। মাত্র তিন বছরে ১৯৭৫ সালে এসে সেটি বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২৭৮ ডলার। চীনের চেয়ে সেটা ১০০ ডলার বেশি ছিল। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ ওই রেকর্ড ভাঙতে পারেনি। এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নীতির কারণে।’
যখন দেশ স্বাধীন হয় তখন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক ছিল। ধ্বংসস্তূপের ওপর যাত্রা শুরু করা দেশটি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ায়। মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যায়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯৩ ডলার, সেটি ১৯৭৫ সালে হয় ২৭৮ ডলার। মঙ্গলবার এক ওয়েবিনারে ‘মাথাপিছু আয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের যুগান্তকারী অর্জন: গবেষণার ফলাফল প্রকাশনা’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মসিউর রহমানের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, পিকেএসএফের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, আইএমএফের সাবেক জিসিসি অঞ্চল প্রধান ড. আহসান এইচ মনসুর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড অ্যাক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক কমিশনার প্রফেসর হেলালুদ্দীন নিজামী এবং ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনোমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ । অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য নওশের রহমান।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা পরাজিত হয়েছিল, তারা কোনোভাবেই বাংলাদেশের অস্তিত্ব মেনে নিতে পারেনি। তাই স্বাধীনতার পরপরই নতুন নতুন চক্রান্ত শুরু হয়।
তারা বলেন, এই পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে সামনে নিয়ে যান। শুরুতে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি হচ্ছিল ও যে সম্ভাবনা রচিত হচ্ছিল, ষড়যন্ত্রকারীরা সেটি বুঝতে পেরেছিল। সেজন্য ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা আমাদের চার নেতাকে হত্যা করেছে।
অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে। তখন মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯৩ ডলার। মাত্র তিন বছরে ১৯৭৫ সালে এসে সেটি বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২৭৮ ডলার। চীনের চেয়ে সেটা ১০০ ডলার বেশি ছিল। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ ওই রেকর্ড ভাঙতে পারেনি। এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নীতির কারণে।’
ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন নেতৃত্বে আসেন তখন দেশের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিল্প-কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমাসহ সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তখন তিনি খাদ্য-অন্ন-বস্ত্রহীন দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন নতুন দেশ গঠনের কার্যক্রম।
‘এক বছরের মধ্যে ব্যাংক-বিমা, পুলিশ, বিডিআর, আনসার, কোর্ট-কাচারিসহ সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে সুসংগঠিত করেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জানতেন বাংলার মাটি ও মানুষ দিয়ে উন্নয়নের শ্রেষ্ঠতম আসনে যাওয়া সম্ভব।’
ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘মাথাপিছু আয় বাড়লেই হবে না। সেটা ভোগের উপাদান তৈরি করতে হবে। বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। এটা আকস্মিক বাড়েনি। বাংলাদেশ দিন দিন যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করছে, এই বৃদ্ধি তার প্রতিফলন।’
হেলালুদ্দীন নিজামী বলেন, ‘বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন অন্যতম। মানুষের মুক্তির জন্য তিনি রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছেন। ১৯৭২ সালে তিনি যখন সরকার গঠন করে তখন বৈরি পরিবেশ ছিল। মাত্র তিন বছরে মাথাপিছু আয় ৯৩ ডলার থেকে ২৭৩ ডলারে উন্নীত হয়।’
ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময়ে মাথাপিছু আয় অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি ছিল। তিনি কীভাবে অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করেন, সেটাই মূল বিষয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে সবকিছু ভঙ্গুর ছিল। সংবিধানের মূল ভিত্তি হলো মানুষ। বঙ্গবন্ধুর সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শনের মূলে ছিল মানুষ। বঙ্গবন্ধু মানুষকে প্রাধান্য দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন দেশে মাত্র সাড়ে তিন বছর পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সেই অসাধ্যকে সাধন করেছিলেন এই সাড়ে তিন বছরেই। বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি শক্ত ভিত নির্মাণ করেছেন। সেই ভিতের ওপর নির্ভর করে শুধু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি না, সমগ্র বাংলাদেশ আজ পরিচালিত হচ্ছে।’
- গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- প্রতিবেশী থাইল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার: শেখ হাসিনা
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে:শিল্পমন্ত্রী
- বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত
- আম দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ছে আরও তিন দিন
- শপথ নিলেন নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
- বিশ্বনেতাদের প্রতি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- গরমে মাথায় হাত মুরগি খামারির, আম চাষিরাও চিন্তায়
- ভারতের ৫২৭ খাদ্যপণ্যে বিষ : ইউরোপে নিষিদ্ধ
- স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত শনিবার
- মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো ২৮৮ সেনা-বিজিপিকে
- দুবাইয়ের পর এবার মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
- বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বেনজীর আহমেদের সম্পদের তথ্য চাইল দুদক
- হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
- উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে
- বিএনপি আন্দোলনেব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে:কাদের
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিএসইসির আদেশ জারি
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না - বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান : মেয়র, ডিএসসিসি
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়া
আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- মুকসুদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার