• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া মুক্ত দিবস আজ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮  

আজ ১৯ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া মুক্ত দিবস। সারা দেশ যখন বিজয়ের আনন্দে উল্লসিত সে সময়েও গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের জন্য  যুদ্ধ করে যাচ্ছিল। ১৬ ডিসেম্বর সারাদেশ স্বাধীন হলেও ১৯ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা ভাটিয়াপাড়ার মিনি ক্যান্টনমেন্টে আক্রমণ চালিয়ে তাদের পতন ঘটায়। এই পতনের মধ্য দিয়ে হানাদার মুক্ত হয় পুরো গোপালগঞ্জ অঞ্চল।

পাক বাহিনীর একটি দল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সংলগ্ন “জয় বাংলা” পুকুর পাড়ের মিনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৭ ডিসেম্বর সকালে আধুনিক অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে পালিয়ে ভাটিয়াপাড়ার  ক্যাম্পে অবস্থান নেয়। পরে ১৯শে ডিসেম্বর খুব ভোরে নড়াইল জেলার দিক থেকে ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর মঞ্জুর, নড়াইল জোনের মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার ক্যাপ্টেন হুদা, লে. কর্ণেল জোয়ান, কামাল সিদ্দিকী, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরের দিক থেকে ক্যাপ্টেন ইসমত কাদির গামা ও বাবুলের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডাররা সম্মিলিতভাবে ভাটিয়াপাড়ার মিনি ক্যান্টনমেন্টে আক্রমণ চালিয়ে তাদের পতন ঘটায়। বিজয়ের তিন দিন পর প্রচণ্ড যুদ্ধের পর দুপুরের দিকে কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়ায় পাক সৈন্যরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের মে মাসে কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়ায় সামরিক ঘাটি স্থাপন করে। ৬৫ জনের শক্তিশালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একটি গ্রুপ এখানে অবস্থান করে এলাকায় নিরীহ মুক্তিকামী মানুষের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। অনেক মানুষকে হত্যা করে ভাটিয়াপাড়ার পাশ দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীর পানিতে ফেলে দেয়।   

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা ইউনিট কমান্ড এর সাবেক কমান্ডার এনায়েত হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর যৌথ কমান্ডারের নেতৃত্বে সাহসী যুদ্ধে ১৯ ডিসেম্বর ভোরে আক্রমণের পর দুপুরের দিকে জয় লাভ করি । পরে ৬৫ জন পাকস্তানি সেনা  ও শতাধিক রাজাকার আত্মসর্মপণ করে।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ