• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

বশেমুরবিপ্রবিতে সাপের উপদ্রব, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২২  

গরমের শুরুতে আবারো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সাপের উপদ্রব বেড়েছে। এর আগে গত বছরের শীতকালের প্রথমদিকে সাপের উপদ্রব দেখা যায়।

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা, মাঠ, স্কুল, লেকপাড়ও হলসংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় বিষধর সাপের দেখা মিলছে। সবশেষ রোববার (১০ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসংলগ্ন রাস্তা ও স্বাধীনতা দিবস হলের সামনে গোখরা সাপ দেখা যায়। এতে আতঙ্কে রয়েছেন আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীরা।

গতবছরের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গোখরা সাপের দেখা মেলে। পরে নিরাপদে চলাচল ও সাপের বিষ নিবারক ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আবেদনে ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় পরিষ্কার ও জেলা সদর হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য আবেদন করা হয়।

আবেদনের পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের নির্দেশে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়া হয়। তবে বিভিন্ন জায়গায় সাপের প্রজননক্ষেত্র থাকায় প্রতিনিয়ত সাপের দেখা মিলছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিসম্পদ বিজ্ঞান ও ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক শরিফুজ্জামান বলেন, ‘এর আগেও একাধিকবার সাপের উপদ্রবের কথা জানা গেছে। আসলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে এদের চলাচল। বিশেষ করে এদের প্রজননক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হওয়ায় প্রায়শ এদের দেখা মিলছে।’

শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, বিষধর যে সাপগুলোর দেখা মিলছে তাদের বয়স চার থেকে পাঁচমাসের মাসের কম নয়। এর মানে ক্যাম্পাসে কোনো মা সাপ অনেকগুলো ডিম ফুটিয়েছে। যে কারণে উপদ্রব বেশিই দেখা দিচ্ছে।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোরাদ হোসেন বলেন, সাপের উপদ্রবের বিষয়টি জেনেছি। এর আগে আমরা হল ও ডরমিটরি সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছি। শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গোখড়া প্রজাতির সাপের বিষ মূলত একটি শক্তিশালী সিনাপটিক নিউরোটক্সিন এবং কার্ডিওটক্সিন সমৃদ্ধ বিষ। যা দংশনের ৪০ থেকে ৫৫ মিনিটের মধ্যে মানুষের মৃত্যু হয়। এ বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এই প্রজাতির ১০টির বেশি সাপ মারা হয়েছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ