দেশ নৈরাজ্যের অন্ধকারে ডুবেছে: ফখরুল

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে গিয়েই সামাজিক অপরাধীরা দেশব্যাপী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সামাজিক অনাচার এখন ভয়াবহ মাত্রা লাভ করেছে। আতঙ্ক ও ভয় দেশের মানুষকে গ্রাস করে ফেলেছে। দেশ এখন নৈরাজ্যের অন্ধকারে ডুবে গেছে।

ঠাকুরগাঁও জেলায় বিজিবি ও গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষে চার জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বুধবার সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গুম-খুন-অপহরণ-নারী শিশু নির্যাতন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মধ্যরাতে মহাভোট ডাকাতির মহা আয়োজন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সম্পন্ন করা হয়। এ জন্যই এসব বাহিনীর মধ্যে আইনানুগ কাজে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, কোনও মানুষকেই বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা আইন সম্মত নয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অস্ত্র থাকলেই তা ত্বরিৎ প্রয়োগ করা সুশাসনের লক্ষণ হতে পারে না, বরং তা বেপরোয়া ও বেআইনী কর্মকাণ্ডেরই অংশ।

তিনি বলেন, একেিদক সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশের মানুষদের হত্যা করছে অন্যদিকে নতুন করে এর সঙ্গে দেশের বিজিবি-ও যদি যুক্ত হয় তাহলে সীমান্তবর্তী মানুষজনের জীবনের আর কোন নিরাপত্তা রইল না।

ফখরুল বলেন, এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব স্থায়ীভাবে আসন লাভ করবে। গণসম্মতিহীন সরকার প্রতিষ্ঠিত থাকলেই কেবলমাত্র প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বেআইনী কর্মকাণ্ড চালাতে উৎসাহী হয়। কারণ তাদের কোন জবাবদিহিতা করতে হয় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও রক্ত ঝরছে। ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে বলেই রক্তঝরার পরিমান দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অরাজক পরিস্থিতি চলতে পারে না। অত্যাচারিত জনগণের ক্ষোভ যেকোনও মুহূর্তেই বিস্ফোরিত হবে।