• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

বাংলাদেশের দুই নারী বিজ্ঞানীর কীর্তি

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

কৃষি গবেষণায় যুগান্তকারী অবদান রাখায় বাংলাদেশে দুজন নারী বিজ্ঞানী আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। মাফরুহা আফরোজ ও মোসাম্মৎ শামসুন্নাহার নামের ওই দুই বিজ্ঞানী বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। তাঁরা দুজন যথাক্রমে সবজির ঢলে পড়া রোগ দূর করার প্রযুক্তি ও মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ট্রাইকো কম্পোস্ট নামের একটি জৈব সার উদ্ভাবন করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ফুড ট্যাংক থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ওই দুই বিজ্ঞানীসহ বিশ্বের চারটি দেশের আটজন বিজ্ঞানীকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

ফসলকে কীটপতঙ্গ ও জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) নিয়ে গবেষণা করছেন এমন আট বিজ্ঞানীকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ থেকে পালন করা ‘বিজ্ঞান গবেষণায় নারী ও কিশোরী’ দিবস উপলক্ষে এই বিজ্ঞানীদের নাম ঘোষণা করেছে ফুড ট্যাংক।

জানতে চাইলে মাফরুহা আফরোজ বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা বাড়ির আঙিনা ও জমিতে সবজি চাষে বেশি যুক্ত থাকেন। দিনে দিনে কৃষিতে তাঁদের অবদান বাড়ছে। কিন্তু নানা রোগ-বালাইয়ের কারণে সবজি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন ব্যাকটেরিয়াল উইল্ট টমেটো ও বেগুনগাছের ঢলে পড়া রোগের জন্য দায়ী। অনেক আগে থেকে তা দূর করতে গ্রাফটিং পদ্ধতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা চলছে। আমরা দেশে পাহাড়ি এলাকা থেকে বুনো বেগুনের একটি জাত এনে বাণিজ্যিক বেগুনের সঙ্গে গ্রাফটিং বা সংযোজন করে ওই রোগ প্রতিরোধের উপায় উদ্ভাবন করেছি, যা বেশ কার্যকর হয়েছে।’

বারির প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে কর্মরত মোসাম্মৎ শামসুন্নাহার মূলত ট্রিচোডার্মা নামে একটি জৈব সার উদ্ভাবন করেছেন, যা মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও জীবাণু প্রতিরোধ করে। ওই সার ব্যবহারের পর জমিতে ফসলের চাষ করলে তাতে জীবাণু আক্রমণ কম করে ও সবজি নিরাপদ থাকে।

জানতে চাইলে শামসুন্নাহার বলেন, ‘নানা ধরনের কীটনাশকের ব্যবহার বন্ধে অনেক দিন ধরে আমরা গবেষণা করে আসছি। এই জৈব সারটি সবজিকে নিরাপদ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ