• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

‘ইভেরা টুয়েলভ’ সেবনে ১১ পুলিশ সদস্যের পাঁচদিনেই করোনা নেগেটিভ!

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২০  

‘ইভেরা টুয়েলভ’ সেবনে মাত্র পাঁচদিনে করোনা নেগেটিভ এসেছে ঢাকা জেলার দোহার থানার করোনা আক্রান্ত ১১ পুলিশ সদস্যের। স্থানান্তর করা ১২ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ১১ জনকে এই ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। তারা সকলেই নেগেটিভ হন। একজনকে পরীক্ষামূলক ঔষধটি প্রয়োগ করা হয়নি, তিনই এখনো পজেটিভ।  

‘ইভেরা টুয়েলভ’  বাংলাদেশের বেক্সিমকোর উৎপাদিত ওষুধ। যার জেনেরিক নাম আইভারমেকটিন। বুধবার (২৭ মে) রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন।

'আইভারমেকটিন' নিয়ে করোনার নিরাময় বিষয়ে সর্বপ্রথম কথা বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যালের চিকিৎসক বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় তৈরি হয়। প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমও এই খবর প্রকাশ করে। দাবি করা হয় ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুলের সঙ্গে আইভারমেকটিনে করোনা নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে চারদিনেই। 

রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনেও এই ওষুধের সাফল্যের কথা জানান চিকিৎসকেরা। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক পুলিশ সুপার মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি কয়েকদিন ধরে রোগী সেরে উঠছে প্রতিদিন প্রায় ১০০ করে। দুটি আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মিলিগ্রাম এই ওষুধে সুফল মিলছে।’

এমন জরুরি সময়ে এসব ওষুধ ব্যবহারে নিষেধ নেই বিশেষজ্ঞদের। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিস্তর গবেষণার তাগিদ তাদের।

বাংলাদেশ ফার্মাকোলজিক্যাল সোসাইটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, 'এ ওষুধ দিয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে এ ধরনের প্রচারণা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে। তাই গবেষণা করা ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা প্রয়োজন।'

দোহার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন  বলেন, 'আমরা দোহার থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের স্থানান্তর করি। সেখানে ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে আইভারমেকটিন ও ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগে করোনা নেগেটিভ হন। আর ১ জনকে পরীক্ষা মূলক সে ওষুধ দেওয়া হয়নি, তিনই এখনো পজেটিভ।' 

দোহার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ১৭ মে রাতে দোহার থানার ১৬ জন পুলিশ সদস্যের করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হই। পরদিন ১৮ মে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ১৯ মে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশলাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর গত ২০ মে করোনা আক্রান্ত ১৬ জনের মধ্যে ১২ জনকে আইভারমেকটিন গ্রুপের বেক্সিমকোর উৎপাদিত ওষুধ ‘ইভেরা টুয়েলভ’ সাথে ডক্সিসাইক্লিন সেবন করানো হয়। পাঁচদিন ওই ওষুধ খাওয়ানোর পর গত ২৫ মে ১২ জনের স্যাম্পল নেওয়া হয় করোনা পরীক্ষার জন্য। আজ (২৭ মে) রাত ৯টার দিকে জানতে পারি ১২ জনেরই করোনা নেগেটিভ হয়েছে।

ওসি সাজ্জাদ হোসেন দাবি করেন, এই ওষুধ সেবনের পাঁচদিনের মাথায় করোনা নেগেটিভ হয়েছে। নিয়মানুযায়ী তাদের আবার দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করা হবে। তারপরেই তারা হাসপাতাল থেকে কর্মস্থলে ফিরবেন। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ