দিন দিন মোটা হচ্ছেন, মারাত্মক এই রোগে ভুগছেন না তো?
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
আধুনিক বিশ্বায়নের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে সবারই জীবনে এসেছে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। যার ফলে দিন দিন বেড়ে চলেছে রোগের প্রকোপ।বিশেষ করে নারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন জটিল সব রোগে। হৃদরোগ, ক্যান্সার, ফুসফুসের সংক্রমণ, ডায়াবেটিস তো রয়েছেই।
আর অনিয়মিত জীবনযাপনের জন্য বাড়ছে শরীরের ওজন। তবে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া শুধু যে শরীরের চর্বি বাড়া তা কিন্তু নয়। আরো মারাত্মক সব রোগের কারণ। এরমধ্যে অন্যতম পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওএস। চিকিৎসকেরা একে ওভারিয়ান সিস্ট হিসেবেও বলে থাকেন।
তবে প্রথম দিকে নারীরা একে খুব হালকা ভাবেই নেন। এই সমস্যাকে গুরুত্ব দেন না। এতে করে দেখা দেয় দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। ২০১২ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বে মোট ১১৬ মিলিয়ন মহিলা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম দ্বারা আক্রান্ত। ভারতবর্ষের প্রায় ১০ শতাংশ মহিলা এই রোগে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে প্রতি পাঁচ জন নারীর মধ্যে একজন এই সমস্যায় ভুগছেন।চলুন জেনে নেয়া যাক এই রোগ সম্পর্কে-
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস) কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক নারীর ডিম্বাশয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ডিম্বাণু থাকে। যা বের হতে পারে না। সেই ডিম্বাণুর ঘরগুলোকে অনেকটা সিস্টের মতো দেখায়। একেই বলে পলিসিস্টিক ওভারি। আর ডিম্বাশয়ের এই অবস্থানের কারণে শারীরিক যেসব উপসর্গ দেখা দেয়, তা হলো পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম। এই রোগের ফলে মেয়েদের শরীরে পুরুষ হরমোনের আধিক্য ঘটতে থাকে। যার ফলে শরীরের নানা অংশে অবাঞ্ছিত রোম গজিয়ে ওঠে। এটি মূলত প্রজনন সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে, যার ফলে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। বন্ধ্যাত্বের সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে এটি একটি কারণ হতে পারে। সাধারণত ১৩ থেকে ৩৫ বছরের মেয়েদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
পিসিওএস হওয়ার কারণ কী?
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওএস কেন হয় তার সঠিক কারণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে কারণ হিসেবে তিনটি দিক উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
> জিনগত কারণ। একজন নারীর পিসিওএস হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় যদি তার পরিবারের কারোর থেকে থাকে। আবার কেউ যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত থাকেন। তাহলেও পলিসিস্টিক ওভারি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
> পরিবেশগত কারণ।
> অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণেও হতে পারে। যেমন - অনিয়মিত খাদ্যাভাস, ফাস্টফুডের প্রতি ঝোঁক, ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া, উশৃঙ্খল জীবনযাপন করা এবং শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়ার মতো অভ্যাসের ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
এ রোগের লক্ষণ
> অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি ও মোটা হয়ে যাওয়া। এই উপসর্গ প্রথম প্রথম দেখা যায় না। পরের দিকে প্রকাশিত হয়
> ঋতুস্রাবের সমস্যা, যেমন - অনিয়মিত পিরিয়ড বা পিরিয়ড না হওয়া
> ব্লাড ক্লট
> মাথার সামনের অংশ থেকে চুল পড়ে যাওয়া
> মুখে অযাচিত চুলের বৃদ্ধি
> মুখে অতিরিক্ত ব্রণ হওয়া
এই রোগের ঝুঁকি
> বন্ধ্যাত্ব
> গর্ভাবস্থায় সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। টাইপ টু ডায়াবিটিস দেখা দেয়।
> লিভারের সমস্যা
> কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
> নিদ্রাহীনতা, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা।
> জরায়ু থেকে রক্তপাত
> অকাল জন্ম
> স্তন ক্যান্সার
> এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার
এই রোগ নির্ণয় করা হয় যেভাবে-
লক্ষণগুলোর উপর নির্ভর করে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। এছাড়া, রক্ত পরীক্ষা এবং টেস্টোস্টেরন, প্রোল্যাক্টিন, ট্রাইগ্লিসারাইডস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন (টিএসএইচ) এবং ইনসুলিনের মাত্রা পরীক্ষার মাধ্যমেও নির্ণয় করা হয়।
এ রোগের চিকিৎসা
চিকিৎসকদের মতে, সঠিক সময়ে যদি এই সমস্যা ধরা পড়ে তবে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে দ্রুত সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়। তবে ওষুধ প্রয়োগের আগে চিকিৎসকেরা রোগীর ওজন কমানোর বিষয়ে জোর দেন। পাশাপাশি সুষম খাবার গ্রহণ, ব্যায়াম ও ধূমপান ত্যাগের কথাও উল্লেখ করেন। যেহেতু ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের কারণে বন্ধ্যাত্বের সৃষ্টি হয়, তাই যারা গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন তাদের ক্ষেত্রে একটি ছোট্ট অস্ত্রোপচার করা হয় যার নাম ল্যাপারোস্কপি ওভারিয়ান ড্রিলিং।
প্রতিরোধের উপায়
> খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করুন। জাঙ্ক ফুড ও ফাস্টফুড খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে। খাদ্যতালিকায় শাকসবজি, ফলমূল, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার খান। জল প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
> নিয়মিত শরীরচর্চা মাস্ট।
> নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
> ধূমপান, মদ্যপান, চা ও কফি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
> উশৃঙ্খল জীবনযাপন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অহেতুক ভয় পাবেন না। বিচলিত না হয়ে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করান। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। অবহেলা করলে শুধুমাত্র বন্ধ্যাত্বই নয়। অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও দেখা দিতে পারে। তাই নিজের প্রতি আরো বেশি সতর্ক এবং যত্নবান হোন।
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই: এলজিআরডিমন্ত্রী
- প্রতীক্ষিত সুখবর দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর
- গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- প্রতিবেশী থাইল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার: শেখ হাসিনা
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে:শিল্পমন্ত্রী
- বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত
- আম দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ছে আরও তিন দিন
- শপথ নিলেন নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
- বিশ্বনেতাদের প্রতি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- গরমে মাথায় হাত মুরগি খামারির, আম চাষিরাও চিন্তায়
- ভারতের ৫২৭ খাদ্যপণ্যে বিষ : ইউরোপে নিষিদ্ধ
- স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত শনিবার
- মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো ২৮৮ সেনা-বিজিপিকে
- দুবাইয়ের পর এবার মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
- বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বেনজীর আহমেদের সম্পদের তথ্য চাইল দুদক
- হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
- উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে
- বিএনপি আন্দোলনেব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে:কাদের
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিএসইসির আদেশ জারি
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না - বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান : মেয়র, ডিএসসিসি
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- মুকসুদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা