• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

খুলনায় বই পড়ে পুরস্কার পেল ৩৭৭৬ শিক্ষার্থী

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ২০১৮ সালে খুলনার ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছয় হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী দুই পর্বে বই পড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বই পড়ায় এর মধ্যে তিন হাজার ৭৭৬ জন ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় আজ শুক্রবার সকালে খুলনা পিটিআই ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান করে পুরস্কার তুলে দেয় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।

স্বাগত, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও সেরাপাঠক এই চারটি ক্যাটাগরিতে তিন হাজার ৭৭৬ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথম পর্বে ২১টি স্কুলের এক হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী ও দ্বিতীয় পর্বে ২১টি স্কুলের এক হাজার ৮৬৫ শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে। তাদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে এক হাজার ২০৮ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে এক হাজার ৬১০ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৮৮৭ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৭১ জন।

সেরাপাঠক পুরস্কার বিজয়ী ৭১ জনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে সাতজনকে দুই হাজার টাকা সমমূল্যের বইয়ের একটি করে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া লটারির মাধ্যমে চারজন অভিভাবককে দেওয়া হয় দুই হাজার টাকা সমমূল্যের বইয়ের একটি করে বিশেষ পুরস্কার।

উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, বিশিষ্ট অভিনেতা আল মনসুর, খুলনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জিয়াউর রহমান, খুলনা অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ হারুনর রশিদ, খুলনা জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার রুহুল আমীন, পিটিআই খুলনার সুপার স্বপন কুমার বিশ্বাস, গ্রামীণফোনের খুলনা অঞ্চলের রিজিওনাল হেড মো. আহসান হাবিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের খুলনা মহানগরের সাবেক সংগঠক হুমায়ুন কবির ববি।

শুরুতে ফুলের মালা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্য পর্বে বিশিষ্ট লেখক ও অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বইপড়ার অভ্যাসকে সর্বোচ্চ সম্মানের সঙ্গে মূল্যায়ন করা হয়। মহৎ এই অভ্যাস আমাদের মধ্যেও গড়ে তুলতে হবে। প্রতিভা বিকাশ, জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি, মানসিকতার ইতিবাচক মনোভাব তৈরিতে বইপড়ার বিকল্প নেই।’ সবকিছু ঊর্ধ্বে গিয়ে বইপড়ার এত সুন্দর কর্মসূচি অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

বিশিষ্ট অভিনেতা আল মনসুর উৎসবে আসা শিক্ষার্থীদের পুরস্কারপ্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন জানিয়ে ছোটবেলার ও দেশ-বিদেশের গল্প বলে বইপড়ার গুরুত্ব ও আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

গ্রামীণফোনের খুলনা অঞ্চলের রিজিওনাল হেড মো. আহসান হাবিব বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কার্যক্রমের সঙ্গে গ্রামীণফোন যুক্ত থাকতে পেরে গর্বিত। তিনি আরো বলেন, বই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ। ভালো এবং বেশি বেশি বই পড়তে হবে আর সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে পারলে সফলতা নিশ্চিত। সে লক্ষ্যে সবার জন্য চমৎকার সব বইয়ের একটি ই-লাইব্রেরি তৈরি করেছে গ্রামীণফোন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে। আগ্রহী পাঠকগণ পছন্দের বই পড়তে পারবেন ই-লাইব্রেরি www.alorpathshala.org ঠিকানায়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে খুলনা মহানগরীর সাবেক সংগঠক হুমায়ুন কবির ববি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বই মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে সহায়তা করে। বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে জীবনে সার্বিক উন্নয়ন অনেকটাই সহজতর হয়। সে জন্য তিনি বেশি বেশি বই পড়তে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে উৎসব আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

মোমবাতি প্রজ্বালন ও আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে... গানের সুরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষ হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ