• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

নড়াইলে ধনিয়া চাষ বেড়েছে ৩শ গুণ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নড়াইলের তিন উপজেলায় ধনিয়া চাষ বাড়ছে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন ধনিয়া চাষে। কৃষি অফিস জানায়, গত বছর জেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে ধনিয়া চাষ হয়েছিল। চলতি বছরে জেলার তিন উপজেলায় ধনিয়া চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫০ হেক্টর জমি। সেখানে চাষ হয়েছে ৬৮০ হেক্টর জমিতে।

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জেলায় ধনিয়ার চাষ বেড়েছে সাড়ে ৩শ গুণ। তিন উপজেলার মধ্যে লোহাগড়া উপজেলায় ধনিয়ার চাষ হয়েছে বেশি। চলতি মৌসুমে শুধু লোহাগড়া উপজেলায় চাষ হয়েছে প্রায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে।

লোহাগড়া কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার মাটি বেলে দোআঁশ ও দোআঁশ হওয়ায় মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন ভালো হয়। উপজেলায় ধনিয়া, বাদাম, পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযোগী। গত মৌসুমে এলাকার ধনিয়ার চাষ তেমন না হলেও চলতি মৌসুমে ব্যাপক চাষ হয়েছে।

কৃষকরা জানান, উঁচু ও ভিটা জমিতে এর চাষ হয়েছে বেশি। শীতের প্রকোপ, ঘন কুয়াশা কম থাকায় এবার ধনিয়ার ফলন ভালো হওয়ার আশা চাষিদের। বাজার দর আশানুরূপ পেলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন তারা।

আশ্বিন-কার্তিক মাসে বপন পদ্ধতিতে ধনিয়ার চাষ শুরু হয়। ফলন পাওয়া যায় ফাল্গুন-চৈত্রে। অনুকূল আবহাওয়ায় এ বছর রোগবালাই কম। বাজারে চাহিদা থাকায় ছোট অবস্থায় পাতা বিক্রি করেও আয় করেন কৃষকরা।

কৃষক তজিবর শেখ বলেন, ‘জমি তৈরির পর শুধু ধনিয়া বীজ ছিটিয়ে রোপণ করতে হয়। এছাড়াও এ ফসল ফলাতে সার-কীটনাশক ও শ্রমিক ব্যয় কম। তাই নামমাত্র খরচে ধনিয়া আবাদ হয়। বিঘা প্রতি উৎপাদন হয় ৩ থেকে ৪ মণ।’

কৃষক আক্তার তালুকদার বলেন, ‘এ বছর ধনিয়া আবাদে ভালো ফলন আশা করছি। উৎপাদিত ধনিয়া বাজারে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়। শেষ পর্যন্ত ফলন ভালো হলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে।’

jagonews24

গন্ডব গ্রামের ইমানউদ্দিন ও চাচই গ্রামের মতিয়ার রহমান জানান, উপজেলার রাজুপুর, বাকা, শিংগা, দিঘলিয়া, মল্লিকপুর, চাচই, দেবী, শরশুনা, সত্রহাজারী এলাকায় সবুজ পাতা ও সদা বর্ণের ফুলে ফুলে মৌমাছির ঝাঁক মধু সংগ্রহের জন্য ঘুরছে। অপরদিকে মধুচাষিরা ধনিয়া ক্ষেতের পাশে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছে।

লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘ধনিয়া চাষে খরচ ও রোগ কম হওয়ায় অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় বেশি ঝুকেছে কৃষকরা। যে কারণে আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধনিয়া উৎপাদন হবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, ‘ধনিয়া চাষে এলাকার চাষিরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। বাজারে ধনিয়া পাতার বেশ চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা ধনিয়া চাষের দিকে ঝুকছে।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ