• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

মেহেরপুরে নতুন পেঁয়াজ ৬ টাকা কেজি

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ফলন বেশি হলেও হাসি নেই মেহেরপুরের পেঁয়াজচাষিদের মুখে। মৌসুমের শুরুতে দাম কম পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা। সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬ টাকায়। আর প্রতিমণ পেঁয়াজের দাম মানভেদে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পেঁয়াজ কিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছেন। 

বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতীয় সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ চাষ করে লাভ আসছিল চাষিদের ঘরে। গত বছর মৌসুমের শুরুতে তারা প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি করেন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। কিন্তু এবার চিত্র একেবারে উল্টো। 

চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রমিক দিয়ে জমি থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে খরচ না ওঠায় অনেকে পেঁয়াজ তুলছেন না। এক বিঘা জমিতে সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ চাষে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর ফলন পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ মণ।

অক্টোবর-নভেম্বর মাসের মধ্যে বীজ বপনের চার মাস পর ফেব্রুয়ারি থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা যায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের হিসাবে এবার জেলায় সুখসাগর ও তাহেরপুরি জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে  ১৫৪৫ হেক্টর জমিতে।

মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর শুরুতে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০০-৭০০ টাকা মণ দরে, এবার বিক্রি করতে হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা দামে। খরচ উঠতেই হিমশিম, লাভ কীভাবে হবে।’

একই এলাকার চাষি আমজাদ হোসেন জানান, ‘আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হচ্ছে না। বাজারে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে খরচ বাদে চাষির ঘরে কোনো টাকা আসছে না।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা স্বপন কুমার খাঁ চাষিদের লোকসান থেকে বাঁচতে পেঁয়াজ কিছুদিন সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু সুখসাগর জাতের পেঁয়াজের প্রচুর ফলন হয়, তাই ভরা মৌসুমে দাম কম। তবে কিছূদিন সংরক্ষণ করে বিক্রি করলে চাষিরা লাভবান হবেন।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ