• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

লেবার পার্টিতে ভাঙন, সাত এমপির পদত্যাগ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

জেরেমি কর্বিনের ব্রেক্সিট ও ইহুদি-বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদে ব্রিটিশ লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করলেন সাত সংসদ সদস্য। তারা হলেন চুকা উমুন্না, লুসিয়ানা বার্জার, ক্রিস লেজলি, অ্যাঞ্জেলা স্মিথ, মাইক গ্যাপস, গ্যাভিন শুকার এবং অ্যান কোফি। খবর বিবিসি।

বিবিসি লিখেছে, ব্রেক্সিট প্রশ্নে করবিনের সঙ্গে একমত নন পদত্যাগী সাত লেবার এমপি। পাশাপাশি দলের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগ এনেছেন তারা।

পদত্যাগের বিষয়ে লুসিয়ানা বার্জার জানান, 'দলটি এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই ইহুদি-বিরোধী হয়ে গেছে এবং এখানে আমি বিব্রত ও লজ্জিত বোধ করি। আজ সকালে আমরা কয়েকজন লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত খুবই কঠিন ও বেদনাদায়ক হলেও পদত্যাগ করা প্রয়োজন ছিল'।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা দেশের ভিন্ন ভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব করি, আমরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন পটভূমি ও প্রজন্ম থেকে এখানে এসেছি। এরপরও আমাদের সবার চেতনা ও মূল্যবোধের জায়গা এক। আজ থেকে আমরা কোনো দলের নয়, বরং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবেই সংসদে বসবো'।

লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করা আরেক সংসদ সদস্য ক্রিস লেজলি বলেন, 'লেবার পার্টি অনেকে আগেই বামদের স্বারা দূষিত হয়ে গিয়েছে'।

তাদের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে লেবার নেতা করবিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, দলের যে নীতি ২০১৭ সালের নির্বাচনে লাখো মানুষের মধ্যে প্রেরণা জাগালো, সেই নীতির জন্য কাজ করে যেতে তারা ব্যর্থ হলেন।

জানা গেছে, ব্রেক্সিট নিয়ে আরেকটি গণভোটের সিদ্ধান্ত ও ইহুদীবিদ্বেষের অভিযোগ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব ব্যর্থতার অভিযোগ এনে ক্ষুব্ধ লেবার পার্টির এক পক্ষ। জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে দলের ভবিষ্যত নিয়ে দ্বিধান্বিত মডারেট এমপিরা।

গত সপ্তাহে শ্যাডো চ্যান্সেলর ক্রিস লেসিলি বলেন, ইইউ ত্যাগ নিয়ে লেবার পার্টির ঐক্যবদ্ধ অবস্থান না থাকাটা দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি লেবার পার্টির নেতারা আমাদের বোকা বানাচ্ছেন।’

করবিনের কট্টর সমালোচক লিভারপুলের এমপি লুসিয়ানা বার্জারের প্রতি আচরণের কারণে দলের নেতৃত্বস্থানীয় সদস্যদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তার প্রতি অনাস্থা ভোটেরও হুমকি দেওয়া হয়।

রবিবার শ্যাডো চ্যান্সেলর জন ম্যাকডোনেল বলেন, তিনি দলের মধ্যে বিভক্তির কোনও প্রয়োজন দেখছেন না। তিনি বলেন, যারা বলছেন যে ব্রেক্সিটে আবার গণভোট না হলে আলাদা হয়ে যাবেন, আমরা বলছি যে বিষয়টি বিবেচনাধীন, বাস্তবায়ন হতেও পারে। তার দাবি, ব্রেক্সিট ইস্যুতে তারা এক রয়েছেন। আর ইহুদীবিদ্বেষের অভিযোগ এনে যেই প্লেগ দলে ছড়ানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিবেন তারা।

জন ম্যাকডোনেল বলেন, এই মুহূর্তে এমপিদের বেরিয়ে যাওয়ায় ১৯৮১ সালের এসডিপি ভেঙে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সেসময় লেবারের ভোট বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় অনেক বছর ধরে ক্ষমতায় ছিলেন মার্গারেট থ্যাচার।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ