• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

জলবায়ু পরিবর্তন রোধ

২০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বিশ্বব্যাংক

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

২০২১-২০২৫ সাল পর্যন্ত জলবায়ু অ্যাকশন বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। গত সোমবার এক বিবৃতিতে ব্যাংক জানায়, আগামী পাঁচ বছরের তহবিল হবে ২০০ বিলিয়ন ডলারের, যা বর্তমান পঞ্চবার্ষিক বরাদ্দের দ্বিগুণ।

বিশ্বের ২০০ দেশের অংশগ্রহণে পোল্যান্ডে যখন জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তখন বিশ্বব্যাংক তাদের এ পরিকল্পনার কথা জানাল, যা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির একটি বড় পরিকল্পনার কথা জানান দেয়। এটি বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত।

অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) তথ্য অনুযায়ী উন্নত দেশগুলো তাদের জলবায়ু রোধ তহবিল বাড়িয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলার করতে চায়। এ অর্থ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যয় করা হবে। ২০১৬ সালে উন্নত দেশগুলোর এ বরাদ্দ ছিল ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১৭ সালে বরাদ্দ ছিল ৫৬.৭ বিলিয়ন ডলার।

এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, ২০০ বিলিয়ন ডলারের এ তহবিলে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার থাকবে বিশ্বব্যাংকের সরাসরি অর্থায়ন। বাকি তহবিলের এক-তৃতীয়াংশ আসবে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের দুটি সংস্থা থেকে।  আর বাকি অর্থ বেসরকারি খাত থেকে ব্যবস্থা করবে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিচালক জন রোমে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আমরা যদি কার্বন গ্যাস না কমিয়ে এখনই অভিযোজন গড়ে না তুলি তবে ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ মিলিয়নের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আরো জানি, যদি আমরা সক্রিয়ভাবে এ সমস্যা নিয়ে কাজ না করি তবে তিনটি অঞ্চল আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকায় ১৩৩ মিলিয়ন মানুষ জলবায়ু অভিবাসী হবে। রোমে জানান, প্রতিবছর ব্যাংকের অর্থায়ন প্যাকেজ হচ্ছে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু প্রতিবছর গড়ে সরাসরি অর্থায়ন আসবে গড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সিইও ক্রিসটোলিনা জর্জিয়েবা বলেন, সমুদ্রের উচ্চতা, বন্যা এবং খরা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অবশ্যই আমাদের কাজ করতে হবে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থায়ন বাড়ানোর মাধ্যমে দরিদ্রদের জন্য কাজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব নাটকীয় প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে তাতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকে জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল অবকাঠামো তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল কৃষি, টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নেট নিয়ে তৈরিতেও বিনিয়োগ করছে।

রোমে বলেন, ‘আমরা যদি বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচেও রাখতে পারি তার পরও আমাদের চাদ, মোজাম্বিক ও বাংলাদেশের মতো জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণ অভিযোজন করতে হবে। রয়টার্স।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ