• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

‘এটা আমাদের সংগীতের জন্য দুঃসংবাদ’

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৯  

সুকন্ঠি সংগীতশিল্পী মৌটুসী পার্থ। দীর্ঘদিন ধরেই পথ চলছেন সংগীত জগতে। এরমধ্যে তার প্রকাশিত গানগুলো শ্রোতামহলে প্রশংসিত হয়েছে। স্টেজ, নতুন গান ও টিভি অনুষ্ঠান নিয়ে এখন বেশ সরব মৌটুসী। প্রতিদিনই নতুন উদ্যমে গান করে চলেছেন এ গায়িকা।

সব মিলিয়ে কেমন যাচ্ছে দিনকাল?

উত্তরে মৌটুসী বলেন, খুব ভালো আছি। সময়টা গানে গানেই আসলে কেটে যায়। তাই  বেশ ভালো থাকি।

এখন স্টেজের ব্যস্ততা কেমন?

এ গায়িকা বলেন, স্টেজের ব্যস্ততা এতদিন কম ছিলো। কারণ বর্ষা মৌসুম চলছিলো। এখন ধীরে ধীরে বাড়ছে। সামনেতো শীত। স্টেজের মৌসুম। টানা শো নিয়ে ব্যস্ততা থাকবো এই সময়টাতে। এরইমধ্যে বেশ কিছু শো করেছি। সামনের শোগুলোও আশা করছি ভালোভাবে করতে পারবো। অন্য ব্যস্ততা সম্পর্কে বলুন। মৌটুসী বলেন, স্টেজ শোর পাশাপাশি টিভি অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ততা চলছে। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন চ্যানেলের লাইভে গাইছি। পাশাপাশি রেকর্ডিং অনুষ্ঠানের শুটিং করছি। দেশের বাইরে শো করতে যাওয়ার কথাও চলছে। হয়তো সামনে সেগুলোতে অংশ নেবো। আর নতুন গানের কাজও করছি।

নতুন গান কবে নাগাদ প্রকাশ হবে?

উত্তরে মৌটুসী বলেন, আরফিন রুমি আমার জন্য একটি গান তৈরি করে রেখেছিলো। কিছুদিন আগে সেই গানে কন্ঠ দিয়েছি। এ গানটির কথা, সুর ও সংগীত বেশ মনে ধরেছে আমার। আমি এটি নিয়ে বেশ আশাবাদী। কারণ চলতি প্রজন্মের মধ্যে রুমি অনেক ভালো কাজ করছে। আমার বিশ্বাস গানটি প্রকাশ পেলে ভালো লাগবে সবার। এর বাইরে কয়েকটি নতুন গানের কাজ প্রসঙ্গে কথা চলছে। ব্যাটে বলে মিলে গেলে করে ফেলবো।

চলতি সময়ে গানের অবস্থা কেমন দেখছেন?

মৌটুসী বলেন, গানের অবস্থা আগের মতো নেই। এখন সব কিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। উৎসবমুখর ভাবটা নেই। আগে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন উৎসবে শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশ করতো। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ থাকতো। কিন্তু এখন চিত্র পাল্টে গেছে। প্রযুক্তির পালাবদলে সিডি মাধ্যমও এখন বিলুপ্ত। ডিজিটালি গান প্রকাশ হচ্ছে। তেমনভাবে কোথাও গান বাজতেই শোনা যায় না। সবাই নিজের মতো করে হেডফোন কিংবা মোবাইলে গান শুনছে। এখনতো ইউটিউব হচ্ছে গান প্রকাশ ও শোনার বড় মাধ্যম। যে যেভাবে পারছে এ মাধ্যমে গান প্রকাশ করছে। আগের মতো অ্যালবাম নেই। একটি করে গান প্রকাশ হচ্ছে। সঙ্গে আবার ভিডিও। তাছাড়া এখন ভালো কথা-সুরের অভাব। যার কারণে মানুষ আবার ভিনদেশী গানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। এটা আমাদের সংগীতের জন্য দুঃসংবাদ।

এর থেকে উত্তরণ কিভাবে সম্ভব?

মৌটুসী বলেন, আমি কোনো সংগীত বোদ্ধা নই। তবে একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে মনে করি যার যেটা কাজ সেটা নিয়েই থাকা উচিত। জোর করে গান লেখা, সুর করা কিংবা গাওয়া যায় না। কিন্তু এ বিষয়টাই এখন বেশি হচ্ছে। মানসম্পন্ন কাজের অভাব দেখা যাচ্ছে। এ কারণে আমি বলবো সর্বপ্রথম ভালো কথা-সুরের প্রতি জোর দিতে হবে। তাছাড়া একই ধরনের গান হচ্ছে এখন। গানগুলোর সুর প্রায় কাছাকাছি ধরনের। এই একঘেয়েমি ব্যাপারটা থেকে বের হওয়া দরকার। গানে ভিন্নতা আনার চেষ্টা খুব কম দেখছি। যার কারণে শ্রোতারাও বিরক্ত। আমি মনে করি ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলের গান দিলে শ্রোতারা সেটা অবশ্যই গ্রহণ করবে। এখন অনেক মেধাবী শিল্পী রয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন টিকে থাকতে হলে তাদের ভালো গানে মনোযোগী হতে হবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ