ভর্তি হতে এসে শিক্ষার্থীরা অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়ে
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৯
বাংলাদেশের প্রখ্যাত নৃবিজ্ঞানী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মাজহারুল ইসলাম। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নৃবিজ্ঞানের সমসাময়িক চাহিদা ও গুরুত্বের কথা বলেছেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নৃবিজ্ঞানকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম: আশির দশক থেকে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে নৃবিজ্ঞান চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও এ দেশে নৃবৈজ্ঞানিক গবেষণার ঐতিহ্য আরও পুরোনো। সমাজ যেহেতু মানুষকে নিয়ে অতএব নৃবৈজ্ঞানিক গবেষণা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া বাংলাদেশ একটি জনবহুল ও সমস্যাসঙ্কুল দেশ। এখানে প্রচুর সমস্যা রয়েছে, যা নৃবিজ্ঞানীরা তাদের অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে সমাধানে সচেষ্ট হতে পারে। নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা মাঠপর্যায়ে গবেষণা করে প্রাপ্ত সমস্যা ও সমাধানের চিত্র তুলে আনতে সক্ষম। কেননা নৃবৈজ্ঞানিক গবেষণা পদ্ধতি ও মানুষ সম্পর্কিত পঠন পাঠন নৃবিজ্ঞানের একাডেমিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশে নৃবিজ্ঞান বিষয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু গবেষণা হয়েছে। বছরে গড়ে প্রায় ৪০০ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর জনবল তৈরি হচ্ছে। তারা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন জায়গায় কৃতিত্বের সাথে কাজ করছে। তবে নৃবিজ্ঞানীর জন্য নির্দিষ্ট করে আরও কাজের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। কলেজসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে স্টাফ নৃবিজ্ঞানীর পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নৃবিজ্ঞানীদের জন্য সুনির্দিষ্ট পদ তৈরি করা জরুরি।
বলা হয়ে থাকে, বিদেশে নৃবিজ্ঞানের গুরুত্ব থাকলেও বাংলাদেশে তেমন নেই। এ সীমাবদ্ধতার কারণ কী?
অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম: দেশের বাইরে গুরুত্ব বেশি কিংবা আমাদের দেশে কম ব্যাপারটা এমন নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নৃবিজ্ঞান হচ্ছে এক অন্তর্দৃষ্টি। এই দৃষ্টি বিকশিত হলে মানুষকে এবং মানুষের সমস্যাকে বোঝা সম্ভব। বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। এখানে অনেক সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা আছে। ফলে এসব সমাধানকল্পে নৃবিজ্ঞানীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে পারে। এ দেশে রাষ্ট্রীয় পরিসরে ও বেসরকারিভাবে নৃবিজ্ঞানীদের কাজের আরও সুযোগ দরকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিষয় বিভ্রাট দেখা যায়। এ সমস্যা দূরীকরণে কী করা যেতে পারে?
অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম: পৃথিবী নিয়ত পরিবর্তনশীল। তাই আমরা নতুন নতুন বিষয়ের সাথে যেমন পরিচিত হচ্ছি; তেমনি কিছু কিছু বিষয় হারিয়েও যাচ্ছে। পৃথিবীর বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর পর বিষয়ভিত্তিক কাউন্সিলিং করানো হয়। যারা সেই বিষয়ে পড়ে ভালো কাজ করেছে, তাদেরকে দিয়ে অনুপ্রেরণামূলক আলোচনা-পর্যালোচনার ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। ফলে শিক্ষার্থীরা অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়ে। অনুপ্রেরণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রথম থেকেই উৎসাহী করে তোলাটা জরুরি।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে নৃবিজ্ঞানীরা কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?
অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম: এটা মূলত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়। তবে নৃবিজ্ঞানীরা স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গাদের মিথস্ক্রিয়া ও তাদের সমস্যা এবং মনোভাব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়ে সাহায্য করতে পারে। নীতি নির্ধারকরা নৃবিজ্ঞানীদের প্রাপ্ত গবেষণালব্ধ ফলাফলকে কাজে লাগাতে পারে। এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
একজন নৃবিজ্ঞানী হিসেবে বাংলাদেশকে কিভাবে দেখতে চাইছেন?
অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম: কোনো সমাজ বা রাষ্ট্রে একেবারে বৈষম্য নির্মূল সম্ভব নয়। তবে সহনীয় বৈষম্যের এক জ্ঞানভিত্তিক সমাজের প্রত্যাশা করি। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সমৃদ্ধ, পরমতসহিষ্ণু এক উদারনৈতিক সমাজের প্রত্যাশা করি। মানুষ তার স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারবে এবং বিকশিত হতে পারবে এমন এক সমাজ প্রত্যাশা করি।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
- চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই
- রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশী জাহাজ
- দাবদাহে তৃষ্ণার্ত পাখির জন্য সিকান্দারের ভালোবাসা
- দিল্লির শতাধিক স্কুলে বোমাতঙ্কে তুলকালাম
- কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার অর্ধশত
- গোপালগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু
- ভাঙ্গা-রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে আসছে নতুন ২ জোড়া ট্রেন
- আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাস করাবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- নদীতে নামছে জেলেরা, ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার আশা
- গোপালগঞ্জের হাসপাতাল আকষ্মিক পরিদর্শনে গেলেন জেলা প্রশাসক
- বাংলাদেশের রেল উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী রাশিয়া
- রেলপথে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা, শুরু জুলাই থেকে
- এআই প্রযুক্তিতে চলবে সরকারি অফিস
- অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ
- সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
- যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ
- শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
- রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ
- চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা
- প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
- ৫২ বছরের মধ্যে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- বাংলাদেশে সবুজ শক্তি উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব অস্ট্রিয়ার
- হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ালো সৌদি
- রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের আহ্বান
- রাবার চাষ উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায় ভারত
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশই যথেষ্ট: ইসি আলমগীর
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ই মাহীর ‘পেশা’
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- পদ্মা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় পৌনে তিন কোটি টাকা