• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

অন্য কিছু এখন আর ভাবতে চাই না: শিলা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৯  

শিরিন আক্তার শিলা। বিদ্যা, মেধা, লাবণ্যে, উচ্চতায় তিনি এই সময়ে দেশের মডেলিং-এ নতুন প্রতিভা। তাকে ঘিরে রচিত হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের স্বপ্নযাত্রা। কিন্তু শিলার স্বপ্ন কী? মডেলিং-এ ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি কী ভেবেছিলেন? কয়েক হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে তিনি এখন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ। কী ভাবছেন নিজেকে নিয়ে? খুব সহজেই কী ধরা দিয়েছে এই সাফল্য? সেই গল্প শিলা করেছেন ।

আপনি এখন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ। আপনাকে অভিনন্দন।

শিলা: অসংখ্য ধন্যবাদ।

বিজয়ীর মুকুট পরে কেমন লাগছে?

শিলা: সত্যি বলতে, এই অনুভূতি মুখে বলে বোঝানো যায় না। যেটা পেয়েছি সেটা পেয়েছি। তবে এজন্য আমাকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হয়েছে। তারও আগে আমাকে প্রস্তুত হতে হয়েছে। এখন নিজেকে স্বার্থক মনে হচ্ছে।

এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে কীভাবে সম্পৃক্ত হলেন?

শিলা: এখন তো মিডিয়ার যুগ। ফেইসবুকে স্ক্রল করতে করতে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার ফরম পাই। কিছু একটা করার ইচ্ছে আগে থেকেই ছিল। সেই ভাবনা থেকেই মূলত আবেদন করি। তখন ভাবিনি এত দূর আসতে পারব। অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের চেয়ে এই প্ল্যাটফর্ম একদম আলাদা।  যখন অডিশন দেই তখন সবাই আপন করে নেয়। এক সময় মনে হতে থাকে, আমাকে এদের সঙ্গে এই মঞ্চে থাকতে হবে।

প্রতিযোগিতার কোন পর্যায় আপনার কাছে বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে?

শিলা: যখন আমাদের গ্রুমিং শুরু হয় তখন বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছিল। ভুলগুলো শোধরানো সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। গ্রুমিংয়ের সময় অন্যদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারি। বুঝতে পারি কী কী ঘাটতি আছে আমার মধ্যে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আগে আমাকে কেউ কখনো বলেনি- তোমার মধ্যে এই ফল্ট রয়েছে। ফল্টগুলো ঠিক করা সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল।

এ সময় পরিবার থেকে কেমন সহযোগিতা পেয়েছেন?

শিলা: গ্রুমিংয়ের সময় পরিবার থেকে আমরা আলাদা ছিলাম। বাসায় প্রতিদিন আধা ঘণ্টার মতো কথা বলতে পারতাম। যে কারণে পরিবার থেকে সেভাবে সহযোগিতা পাওয়ার সুযোগ ছিল না। সারাদিন কাজ করতাম, নিজের সমস্যা নিজেই সমাধান করতাম। মডেল আজরা আপুর সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় ছিল। তিনি আমাকে উত্সাহ দিয়েছেন।

সুস্মিতা সেনকে মঞ্চে পেয়ে কেমন লেগেছে?

শিলা: সুস্মিতা সেন এমন একজন মানুষ যিনি দশ মিনিটে আমাদের আপন করে নিয়েছিলেন। তখন খুবই উচ্ছ্বসিত ছিলাম। আমাদের সবাইকে জড়িয়ে ধরে আদর করেছেন তিনি। চমৎকার বাংলায় কথা বলেছেন। এক কথায় সুস্মিতা সেন সৌন্দর্যের প্রতীক।

এবার বিশ্ব মঞ্চে দাঁড়াতে যাচ্ছেন। এজন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করছেন?

শিলা: নিজেকে আরো বেশি পারফেক্ট হতে হবে। যতটা পারছি সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছি। নিজের ভুলগুলো শুধরে নিচ্ছি। আর মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ আয়োজক কর্তৃপক্ষ দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিশ্ব মঞ্চে দাঁড়ানোর আগে তারা আমাকে আরো গ্রুমিং করাবেন।

অভিনয়ে আসার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?

শিলা: ভালো কাজ পেলে করা যাবে। কিন্তু অভিনয়ের জন্য আলাদা যোগ্যতা লাগে। ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত কখনো অভিনয় করিনি। এজন্য নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনাও নেই। আগামী ডিসেম্বরে মিস ইউনিভার্সের চূড়ান্ত আসর। বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি- ভাবতেই ভালো লাগছে। এজন্য বিশেষ প্রস্তুতিরও প্রয়োজন রয়েছে। এখন পুরোপুরি সেদিকেই মনোযোগ দিতে চাই, অন্য কিছু এখন আর ভাবতে চাই না।

ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার হিসেবে কোনটিকে বেছে নিতে চান?

শিলা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়ছি। কিছুদিন পরই তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা। এদিকে ডিসেম্বরে মিস ইউনিভার্সের চূড়ান্ত আসর। বিষয়টি জানিয়ে বিভাগের কাছে আবেদন করতে হবে। এজন্য স্যারদের সহযোগিতা ছাড়া আমি এগুতে পারব না। আর ক্যারিয়ার হিসেবে আমি শিক্ষকতা করতে চাই।    

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ