• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

বাড়তি ওজন কমাতে ৮ মশলা!

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

প্রতিদিন খাবার তৈরি করতে আমরা নানা রকম মসলা ব্যবহার করি।এসব মসলাতে রয়েছে চমৎকার ওষধিগুণ! মসলা যে শুধু আমাদের খাবারের স্বাদ আর ঘ্রাণই বাড়ায় না, এগুলোতে রয়েছে অসাধারণ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা যা মেটাবলিজম বাড়ায়। ফলে এগুলো আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। এবার জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন মসলা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

এলাচ: এলাচে রয়েছে টর্পিন, টপিনিনোল, সিনিওল, এসিটেট, টপিনিল ইত্যাদি নানা রকম রাসায়নিক উপাদান। এসব উপাদান শরীরের ফ্যাটবার্ন করতে সহায়তা করে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে না।

জিরা: বদহজম, পেট ফাঁপা এবং খাবারে অরুচি সমস্যায় জিরা খুবই উপকারী। অর্শ্বরোগের সমস্যায় মিছরির সঙ্গে জিরা মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত জিরা খেলে ওজন কমে। বেশি খাবার খাওয়ার অস্বস্তি থেকেও জিরা-জল মুক্তি দেয়।

আদা: আদাতে রয়েছে অনেক ওষধিগুণ! পেট পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে আদা বেশ কার্যকরী। এটি পাচনতন্ত্রে জমে থাকা খাবার পরিষ্কার করে দেয় ফলে মেদ জমতে পারে না। মেদ না জমলে ওজন এমনিতেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া আদার রস শরীরের জমে থাকা চর্বি দূর করতে সহায়তা করে।

হলুদ: হলুদের বিশেষ গুণ হলে- এটি ফ্যাট টিস্যু তৈরি হতে দেয় না। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।

কাঁচালঙ্কা: কাঁচালঙ্কায় রয়েছে অ্যাকজেলিক অ্যাসিড, কিউনিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড, এস্কার্বিক অ্যাসিড, সাক্সিনিক অ্যাসিড, শিকিমিক অ্যাসিড, ফোলিক অ্যাসিড, সাইট্রিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড, মেলানিক অ্যাসিড, আল্ফা-এমিরন, ক্যান্সিডিনা, ক্যারোটিন্স, ক্রিপ্টোক্যানসিন, ফ্ল্যাভনয়েডস প্রভৃতি। এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আর কাঁচালঙ্কার ক্যাপসিসিন খিদেও নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় গেছে, কাঁচালঙ্কা মেটাবলিজম বাড়িয়ে অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করতে সহায়তা করে।

দারুচিনি: ওজন কমাতে দারুচিনি অত্যন্ত কার্যকর। নিয়মিত দারচিনি খেলে খিদে কমে যায়। শুধু তাই নয়, দারচিনি শরীরের জমে থাকা মেদ গলাতেও সাহায্য করে। এটি শরীরের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। এ ছাড়াও, পেটের রোগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টায়ফয়েড, টিবি ও ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুচিনি খুবই কার্যকর।

মৌরি: মৌরি আমাদের পাচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এটি লিভারেরও সুস্থতার জন্যেও খুব উপকারী। মৌরি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও খুবই কার্যকর। মৌরি খিদে বোধ কমায়। ফলে ওজন স্বাভাবিক ভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ইসবগুল: ইসবগুল পেট পরিষ্কার রাখে, হজম শক্তি বাড়ায়। আর খিদের ভাব কমায়। প্রতি রাতে শোয়ার আগে ইসবগুল খেলে কমবে ওজন। অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দিনে দু’বেলা খাবারের ১০ মিনিট আগে ২-৩ চামচ ইসবগুল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ