• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কে পানি, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যান

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৯  

কুড়িগ্রাম:  গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধরলা-ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ধরলা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় দুর্ভোগ বেড়েছে ৩ উপজেলার মানুষ। এছাড়া কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।

 

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলায় ৩১ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রে ৩০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের মধ্য কুমোরপুর, চন্ডীপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে হাটু পানি প্রবাহিত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।

এদিকে প্রধান সড়ক জলমগ্ন হওয়ায় কুড়িগ্রাম ও ঘোগাদহ থেকে যাত্রাপুর যানচলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। সদরের হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব বাঁধ যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। এতে এ এলাকার কয়েকশ পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়বে। হু হু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।

কুড়িগ্রামে দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল বন্যায় পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে কৃষি ক্ষতিও। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে আমনের বীজতলা, আউশ, সবজি, কলা, ভুট্টা ও পাটক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে। 

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান বাংলানিউজকে জানান, ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন ও কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।

কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো; আমির হোসেন জানান, কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ক ও কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তাই সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বালুর বস্তা দেওয়া হচ্ছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ