• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

কোটালীপাড়ায় ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১  

দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেক্ষেত্রে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খুলে দেওয়া হবে। আর এই বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আনন্দে ভাসছে শিক্ষার্থীরা। তবে উপজেলার কিছু কিছু বিদ্যালয় ভবন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় এ সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে উদ্বেগ কাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে এসব ভবনের ছাদ ধসে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

এ উপজেলার  ১৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৬টি বিদ্যালয়ের ভবনের অবস্থা জরাজীর্ণ। এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বলে উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এ সকল বিদ্যালয়ে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে বিদ্যারয়গুলো খুলে দেওয়ার সাথে সাথে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এসব ভবনেই পাঠদান করবেন। 

৪০ নং ধারাবাশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিখিল চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে ৩৭৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানোর জন্য একটি টিনশেড ভবন ও দু’কক্ষ বিশিষ্ট একতলা একটি পাকা ভবন রয়েছে। এই পাকা ভবনের একটি রুমে রয়েছে আমাদের অফিস কক্ষ। অপর কক্ষে আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাই। এ ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটির পলেস্তারা খসে পড়ছে। টিনশেড ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে প্রায় ১৫ বছর আগে। এখানেই আমরা শিড়্গার্থীদের পাঠদান করাই। 

বিদ্যালয়টির প্রধানশিক্ষক অনিপ হালদার বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিসে চিঠি দিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো ফল হচ্ছে না। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে আমরা এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছি। 

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নীল কণ্ঠ বাড়ৈ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের দুটি ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। পাকা ভবনটির শ্রেণি ও অফিসকক্ষর পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। বিদ্যালয়টি খুললে সবাই ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। এই বিদ্যালয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ