• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সবাইকে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে চান ইন্দিরা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০১৯  

ঢাকা: সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে চান মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

 

তিনি মনে করেন, ক্রাইসিস থাকলে নারীদের ভয়েস রেইজ হতো না।

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া এবং দপ্তর পাওয়ার পরদিন রোববার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ইন্দিরা।

নারী ও শিশুর অধিকার এবং ধর্ষণের মতো ঘটনায় কী ভূমিকা নেবেন- প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীবান্ধব। এদেশের নারীদের উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, সম-অধিকার এবং সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তিনি অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। যার জন্য তিনি সারা বিশ্বে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এই মন্ত্রণালয়ের সচিবও কিন্তু নারী।
 
‘আপনারা জানেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও নারীদের সম-অধিকারের কথা বলা হয়েছে। ইশতেহারে যা বলা হয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য এবারের বাজেটও প্রণয়ন করা হয়েছে।’
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন বিরোধী অনেক আইন করেছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র আইন দিয়ে, শুধুমাত্র সরকারই এককভাবে কোনো সময়ে নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে পারে না। সেজন্য দরকার জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া, একাত্মতা ঘোষণা করা। আমাদেরকে সবাই মিলে একত্রে কাজ করতে হবে।
 
‘আমি মনে করি, এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ইনশাল্লাহ আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে নারী নির্যাতন-শিশু নির্যাতন সবই বন্ধ করতে পারবো।’
 
নারী ও শিশু নির্যাতন আইন কঠোর করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন কিনা- প্রশ্নে বলেন, অবশ্যই। আইনটি কঠোর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব করেছেন। শুধুমাত্র আমার মন্ত্রণালয় এককভাবে কঠোর করার জন্য প্রস্তাব পাঠাবে না, এখানে আইন মন্ত্রণালয়, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় আছে। সব একসঙ্গে করা হবে।
 
গত ছয় মাসে ধর্ষণের মতো যে ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে- এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী নির্যাতন বলেন আর শিশু নির্যাতন বলেন, এটা কিন্তু নতুন নয়। সেই বহু বছর থেকে এটা হয়ে আসছিল। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন দমন আইনগুলো করেছেন এবং যে পর্যায়ে বাংলাদেশের নারীরা উঠে এসেছেন, এগুলো কিন্তু কোনো সময়ে কোনো সরকার করতে পারেনি।
 
আমি নারী ও শিশু নির্যাতনের পক্ষে বলছি না উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগেও নারী নির্যাতন হতো, শিশু নির্যাতন হতো। কিন্তু এভাবে জানাজানি হতো না। আপনারা মিডিয়ায় যে ভাই-বোন আছেন তখন আপনারা ছিলেন না, যার কারণে জানাজানি হতো না। আমাদের মা বোন কিন্তু এভাবে আসতে পারতো না। যার জন্য আমরা জানতাম না আগে নারী নির্যাতন কী পরিমাণ কী সংখ্যক হতো। এখন মিডিয়ার বদৌলতে হয়তো কিছু কিছু হয়েছে।
 
‘কিন্তু আপনারা যেটা ক্রাইসিস মনে করছেন, আমি কিন্তু এটাকে ক্রাইসিস মনে করি না। তার কারণ, এখন নারীরা আগের চাইতে অনেক ভালো অবস্থানে আছে। তারা এখন তাদের ভয়েস রেইজ করেছে। যদি ক্রাইসিস থাকতো তাহলে নারীদের ভয়েস কিন্তু রেইজ হতো না।’
 
মুন্সিগঞ্জে প্রথম

ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসা ইন্দিরা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক থেকে প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন।
 
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আমার জেলা মুন্সিগঞ্জে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দলের সরকারের কোনো মন্ত্রী ছিল না। এবারই প্রথম আমাকে মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেজন্য আমার মুন্সিগঞ্জবাসী খুবই আনন্দিত। মুন্সিগঞ্জ জেলাবাসীর পক্ষ থেকে আমাকে এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
 
অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, বুঝতেই পারেন আমার অনুভূতিটা কী রকম। এতো বছর পরে একটা জেলা থেকে এই প্রথম একজনকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ায় জনগণ যেমন আনন্দিত আমিও আনন্দিত এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ