• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

নির্বাচনে জিয়া পরিবারের অনুপস্থিতি ভোগাবে বিএনপিকে

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৮  

নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পরিবার থেকে
কোন প্রার্থী নেই। গত ২৭ বছরে (২০১৪ ছাড়া) এই প্রথম কোন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা
পরিবারের অনুপস্থিতির সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিএনপি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিন
আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও আদালতে সাজা পাওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে। অন্যদিকে
দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একাধিক মামলার দণ্ড মাথায় নিয়ে লন্ডনে পলাতক জীবন যাপন করায়
নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না তিনি।
এমন বাস্তবতায় নির্বাচনে জিয়া পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতি বিএনপিকে বেশ ভোগাবে বলে মনে
করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কান্ডারিবিহীন বিএনপিকে এবারের নির্বাচনে চরম মূল্য দিতে হতে পারে
বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ১৯৯১ সাল থেকে অংশগ্রহণমূলক প্রতিটি নির্বাচনে
জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দুর্নীতির দুই
মামলায় সাজা হওয়ায় এই নির্বাচনে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে সংশয় ছিলো আগে থেকেই। গুঞ্জন
ছিলো, বগুড়া ও ফেনী থেকে তার দুই পুত্রবধূর (জোবায়দা রহমান ও শর্মিলা রহমান) মধ্যে কেউ, অথবা
সাঈদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দার নির্বাচন করতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কেউ
নির্বাচনে আসেননি। ফলে ২৭ বছর পর জিয়া পরিবারের কোন সদস্য সংসদ নির্বাচনের লড়াই থাকলো না।
একাদশ নির্বাচনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য জিয়া পরিবারের কোন সদস্যের সরাসরি অংশগ্রহণ
থাকলো না।
জিয়া পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ব্যাকফুটে রয়েছে মন্তব্য
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবদিক থেকে

বিএনপি পিছিয়ে রয়েছে। জনপ্রিয়তা, জনসমর্থন, কল্যাণমুখী রাজনীতি যাই বলেন, সবদিক থেকে বিএনপি
ব্যাকফুটে রয়েছে। এরমধ্যে আবার এই নির্বাচনে বেগম জিয়া, তারেক রহমান এমনকি জিয়া পরিবারের কোন
সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। এতে কিন্তু বোঝা যায়, বিএনপিতে জিয়া পরিবারের প্রভাব কিছুটা
হলেও কমে গিয়েছে। বিএনপিকে এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী ও পরিত্যক্ত নেতারা। বিষয়টি
বিএনপির জন্য লজ্জাজনক। জিয়া পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতি এবারের নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব
ফেলবে। বিএনপিকে এর জন্য ভুগতে হবে। জিয়া পরিবার ছাড়া বিএনপি এতিম। সেই এতিমের এখন অনেক
অভিভাবক গজিয়েছে। যে যার মতো করে বিএনপিকে ব্যবহার করছে। নির্বাচনে বিএনপির সফলতা দেখছি না।
বিষয়টিকে নিজের মতো ব্যাখ্যা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেখুন,
বিএনপিতে জিয়া পরিবারের যে প্রভাব রয়েছে সেটি অস্বীকার করা যাবে না। তাই বলে এই নয় যে, খালেদা-
তারেক ছাড়া বিএনপি অচল। এতো এতো সিনিয়র নেতা কী করতে বিএনপিতে রয়েছেন? অস্বীকার করার
সুযোগ নেই যে, বিএনপি তারেক-খালেদার ছায়া থেকে বের হতে পারেনি। কিন্তু পৃথিবীতে কোন কিছু্ই থেমে
থাকে না। ম্যাডাম জিয়া ও তারেক স্যারের অনুপস্থিতিতে বিএনপি ঠিকই রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। দলে
কিছুটা বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম এখনো দৃশ্যমান রয়েছে। এতো ঝড়ের পরও বিএনপি টিকে আছে, সেটিই বড়
বিষয়। নির্বাচনে আমরা জয়ের আশা করছি।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ