• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

তিন নদীর পানি শুকিয়ে ফেনীর বোরো চাষ হুমকির মুখে

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীতে পানির সংকটের কারণে এবার বোরো ধান চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। পানির সংকটে ৫০০ হেক্টরে জমি অনাবাদী থাকার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। জরুরি ভিত্তিতে পরশুরামের মুহুরী ও কহুয়া নদীর মোহনার মুখে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করলে পৌর এলাকা ও চিথলিয়ার কয়েক হাজার কৃষক সেচ সংকট থেকে রেহাই পাবেন বলে তারা জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, পানি সংকটের কারণে পরশুরাম পৌর এলাকার উত্তর ও দক্ষিণ কোলাপাড়া, বাঁশপদুয়া, খোন্দকিয়া, বাউরখুমা, বাউরপাথর, বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের টেটেশ্বর, দক্ষিণ টেটেশ্বর, চিথলিয়া ইউনিয়নের কিসমত ঘনিয়া মোড়া, চিথলিয়া, রাজষপুর, শালধর, ধনিকুন্ডা, মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্বসাহেবনগর, কালিকৃষ্ণনগর, মেলাঘর, কালিকাপুরসহ প্রায় ২০টি গ্রামে পানির সংকটে কৃষকদের বোরো ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে।

উত্তর কোলাপাড়া গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, ‘মুহুরী নদীর উজানের অংশে ভারত সীমান্তে পানি আটকে রাখায় বাংলাদেশের অংশে পানি প্রবাহ কমে গেছে। পানি প্রবাহ না থাকায় কহুয়া নদী একেবারেই শুকিয়ে গেছে। সেচ পাম্প চালু করার কিছুক্ষণের মধ্যে পানি সংকটে তা বন্ধ হয়ে যায়।’

স্থানীয় মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টু জানান, ‘কৃষকদের পানি সংকট বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। কৃষকদের অপূরণীয় ক্ষতি লাঘবে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলায় চলতি বছরে বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৭০ হেক্টর জমি চাষাবাদের। কিন্তু নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় অন্তত ৫০০ হেক্টরে জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে কৃষিখাত হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে পরশুরামে কৃষিখাতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি সম্মুখিন হবে।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ