• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় চারজন ডাক্তার

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ডাক্তার সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার রুগীরা। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে ২১ জন এবং ১২ ইউনিয়নে ১২ জন, মোট উপজেলায় ৩৩ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র আটজন।

তার মধ্যে পেষণে অন্যত্র থেকে বেতন নিচ্ছেন চারজন। ফলে মাত্র চারজন ডাক্তার দিয়ে চলছে এ উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্য সেবা। এতে করে নদী ভাঙন, বন্যা কবলিত দরিদ্রতম উপজেলাবাসী স্বাস্থ্য সেবা থেকে প্রতিনিয়তই বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানা যায়, যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদী বিধৌত অঞ্চল নামে খ্যাত ইসলামপুর উপজেলার, ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এছাড়া পার্শ্ববর্তী মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপর নির্ভরশীল।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি অ্যাম্বুল্যান্স আছে। এর মধ্যে একটি দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এছাড়া ডাক্তার সংকটের কারণে পূর্ণাঙ্গ অপারেশন থিয়েটারটি প্রায় ৫ বছর বন্ধ রয়েছে। একমাত্র আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনটিও দীর্ঘদিন নষ্ট হয়ে আছে। ফলে দরিদ্রপীড়িত অঞ্চলের রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।

ভুক্তভোগী রোগদের মধ্যে আব্দুল কাশেম মিয়া, ইয়াছিন সরকার, সবিতা বেগম, কামরুন্নাহার বিউটি ও শিল্পী বেগম জানান, হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ অপারেশন থিয়েটারে এক সময় সিজারসহ প্রতিদিন বিভিন্ন অপারেশন করা হতো। এতে দরিদ্র মানুষরা উপকৃত হতো। দীর্ঘদিন ধরে অপারেশন বন্ধ থাকায় এলাকাবাসী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং অপারেশন থিয়েটারের মূল্যবান যন্ত্রাংশ অব্যবহৃত অবস্থায় নষ্ট হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম শহীদুর রহমান জানান, ডাক্তার সংকটের কারণে হাসপাতাল চালানো সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পেষণে বদলী বাতিলসহ শূন্যপদে ডাক্তার চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার গৌতম রায় জানান, ইসলামপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালটিতে ২১টি পদ রয়েছে। এ উপজেলায় মোট ৩৩ জন ডাক্তারের পদ রয়েছে। তার মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ আটজন ডাক্তার কাগজ-কলমে কর্মরত থাকলেও চারজন বিভিন্ন স্থানে পেষণে রয়েছেন।

পেষণে চারজনের মধ্যে ডা. আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন তিনি বর্তমানে মুগদা হাসপাতাল, ঢাকায় কর্মরত আছেন, ডা. সায়দাতুস সাবা তিনি বর্তমানে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জামালপুরে কর্মরত আছেন, ডা. আরিফুল ইসলাম তিনি টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে কর্মরত আছেন এবং ডা. ফারজানা জামান মুনা, তিনি ঢাকায় কর্মরত আছেন।

সিভিল সার্জন আরো জানান, এই চারজন ডাক্তারকে মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা থেকে আদেশ দিয়ে পেষণে বদলী করা হয়েছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ