নদীর মৃত্যু
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
২০০৫ সাল থেকে পালিত ‘বিশ্ব নদী দিবসকে’ সামনে রেখে যে প্রশ্নটি অনিবার্য উঠে আসে তা হলো বাংলাদেশে নদ-নদীর সংখ্যা কত? বহু জনশ্রুতিতে আট শতাধিক নদীর কথা শোনা গেলেও বর্তমানে কায়ক্লেশে টিকে আছে ৭১০টি। এর মধ্যে ৩শ’ বড় নদী এবং ৪শ’ শাখা নদী-উপনদী। ৫৭টি নদী আন্তর্জাতিক হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে ৫৩টি ভারত থেকে প্রবাহিত, মিয়ানমার থেকে ৩টি এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবাহিত ১টি নদী। সত্যি বলতে কি, কোনটির অবস্থাই ভাল নয়। ফারাক্কা-গজলডোবাসহ নানা বাঁধ ও ব্যারাজে স্বাভাবিক প্রবাহ অবরুদ্ধ প্রায়। তদুপরি প্রতিনিয়ত দখল-দূষণে জর্জরিতÑ দেশে ও বিদেশে সমানভাবে, ভূমিদস্যু ও জনমানুষ কর্তৃক। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে নদীর প্রবাহ সচল রাখাসহ নদী রক্ষায় ন্যূনতম সচেতনতা নেই বললেই চলে। যে কারণে ইতোমধ্যেই শতাধিক নদী বিলীন হয়ে গেছে। বাকিগুলোরও যায় যায় অবস্থা। এমনকি দেশের অভ্যন্তরে প্রবাহিত ৪০৫টি নদী অবৈধ দখলদারদের কবলিত হওয়ায় মানচিত্রে সেগুলোর অবস্থান প্রায় হারানোর উপক্রম। ফলে নদ-নদীকে জীবনসত্তা বলে অভিহিত করে সেগুলোকে অবিলম্বে অবমুক্ত করার জন্য সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশও থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত।
নদ-নদী বহুল ইতিহাসখ্যাত বাংলাদেশকে আর বুঝি ‘নদীমাতৃক দেশ’ অভিধায় ভূষিত করা যায় না। কেননা, কালের প্রবাহে মানুষের অব্যাহত দখল-দূষণে অধিকাংশ ¯্রােতস্বিনী কল্লোলিনী নদ-নদীর অবস্থা মৃতপ্রায় অথবা জীবন্মৃত। ছোট ছোট নদীর কথা বাদ দিলেও বর্তমানে মেঘনা অববাহিকা বাদে একদা সুবৃহৎ কীর্তিনাশা প্রমত্তা পদ্মা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের অবস্থাইবা কী? সে প্রেক্ষাপটে অন্য নদ-নদীর দুরবস্থা সহজেই অনুমেয়। নদ-নদী শুকিয়ে যাওয়ায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে কৃষকের। বিরূপ প্রভাব পড়ছে প্রকৃতি ও পরিবেশে। মরে যাচ্ছে গাছপালা। হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ নিসর্গ প্রকৃতি। রীতিমতো হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে মৎস্য প্রজাতি, প্রাণিকুল ও জীববৈচিত্র্য।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীসহ রাজধানীর চারপাশের নদ-নদী, সর্বোপরি দেশের সব নদী ও শাখা নদীকে দখল-দূষণমুক্ত করে সারা বছর ধরে নাব্য রাখার জন্য সরকার একটি মাস্টারপ্ল্যান তথা মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এতে একদিকে যেমন নদীমাতৃক বাংলাদেশের আবহমান চিরায়ত প্রকৃতি ও রূপ ফিরে আসবে, তেমনি নৌযান চলাচলের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ মানুষের যাতায়াতের পথ সহজ, সুগম ও সুলভ হবে। সরকার যে দেশের নদ-নদীকে সারা বছর ধরে নাব্য বজায় রেখে দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে সচেষ্ট এবং আন্তরিক তা ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে। তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, বালু ও শীতলক্ষ্যায় প্রায় নিয়মিতই চলছে উচ্ছেদ অভিযান। রাজধানীর বাইরেও এই উচ্ছেদ অভিযান চলমান। নদী দখল ও দূষণ প্রতিরোধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে নৌপথ সচলের পাশাপাশি সারা বছর নদীর নাব্য রক্ষাসহ সেচ সুবিধা ও চাষাবাদ অপেক্ষাকৃত সহজ এবং সম্প্রসারিত হবে নিঃসন্দেহে। ইলিশসহ মাছের উৎপাদনও বাড়বে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮ শতাধিক নদ-নদী এবং ৫৭টি আন্তঃদেশীয় সংযোগ নদী রয়েছে। এগুলোর সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, সিকিম, এমনকি চীনও জড়িত। সুতরাং আন্তঃদেশীয় পানি ব্যবস্থাপনা ও সুষম বণ্টনের ক্ষেত্রেও এসব দেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। পানিসম্পদের সুষ্ঠু ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ১২টি দেশের সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশে ডেল্টা প্ল্যান (বিডিপি) ২১০০’ নামে যুগান্তকারী একটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত এই পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় আগামী এক শ’ বছরে পানির প্রাপ্যতা, এর ব্যবহারসহ প্রতিবেশ ও পরিবেশগত বিষয়সমূহ বিবেচনায় রাখা হয়েছে। মনে রাখতে হবে যে, নদী না বাঁচলে বাঁচবে না বাংলাদেশও।
- মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা
- ১১ বছর পর আরেক বাংলাদেশির এভারেস্ট জয়
- দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন: মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা
- এসএমই মেলা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর থেকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার নিলেন ৭জন
- কারখানার বর্জ্য যেন নদীতে না যায়: প্রধানমন্ত্রী
- মেট্রোরেলের ভাড়ার উপর ভ্যাট আরোপ অযৌক্তিক: ওবায়দুল কাদের
- কোনো দল নয়, বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশবাসী: ভোট কুশলী প্রশান্ত
- আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ৮৫ ভাগ কাজ শেষ
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার
- সাত জেলায় ৩০০ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে ফ্রিপ প্রকল্প
- বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট
- তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে
- ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ
- আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- কর আদায়ে বহুতল ভবন নির্মাণে আগ্রহী এনবিআর
- যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
- কেএনএফ নারী শাখার প্রশিক্ষক গ্রেপ্তার
- স্মার্ট দেশ গড়ার মাধ্যমে এসডিজির অভীষ্ট অর্জন
- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার: নির্বাচন কমিশনার
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিন
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- গোপালগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু
- পদ্মশ্রী পদক গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- কোটালীপাড়ায় এক যুবককে গলা কেটে হত্যা
- ফিলিস্তিনের পক্ষে লেখায় ‘লাইক’ দেওয়ায় স্কুলশিক্ষককে চাকরিচ্যুত
- ঢাকায় কাতারের আমির
অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি - মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব