চা এলো কেমন করে
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
শীতের সকাল কিংবা বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যায় গরম এক কাপ চায়ের কাপে চুমুক- উষ্ণতায় মন ভরিয়ে দেয়। চা কখন, কীভাবে আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠলো এর পেছনে রয়েছে বহু বছরের পুরনো ইতিহাস। যদিও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং বিশ্বব্যাপী নানান চাহিদার কারণে চা পাতার স্বাদ এবং গন্ধে এসেছে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন, তবুও এর আবেদন একই রকম রয়ে গেছে।
পৃথিবীতে যতো ধরনের চা রয়েছে তার সবই এসেছে এক প্রজাতির উদ্ভিদ থেকে। ‘ক্যামেলিয়া সিনেনসিস’ নামক গুল্ম জাতীয় চির সবুজ গাছ থেকে পাতা এবং পাতার কুঁড়ি সংগ্রহ করে চা উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। তবে বিভিন্ন ধরনের চায়ের পার্থক্য মূলত চাষের ধরন, পরিস্থিতি এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ার ভিন্নতার কারণে হয়। পৃথিবীতে সাধারণত দুই ধরনের চা গাছ পাওয়া যায়- চীনজাতীয় চা গাছ এবং আসামজাতীয় চা গাছ। তবে চা পাতার শুরুর গল্প কিন্ত চীনজাতীয় চা গাছ থেকেই।
ঠিক ভেবেছেন, প্রথম চা পাতার আবিষ্কার হয় চীনে। সেখানেও রয়েছে এক রোমাঞ্চকর গল্প। পাঁচ হাজার বছর আগে ‘শেন নাং’ নামে চীনের এক স্বাস্থ্যসচেতন সম্রাট ছিলেন। মজার বিষয় ‘শেন নাং’ শব্দটির অর্থ স্বর্গীয় কৃষক। আর স্বর্গের এই কৃষকের হাত ধরেই পৃথিবীতে চায়ের আগমন৷ শেন নাং একবার ঘোষণা দিলেন, তার রাজ্যের সকলকে পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। একদিন বিকেলে রাজকার্যের ক্লান্তি দূর করার জন্য তিনি গাছের নিচে বসে গরম পানি পান করছিলেন, হঠাৎ তার পানির পাত্রে উড়ে এসে পড়ে দুটো অচেনা পাতা। পাতাগুলো পানি থেকে বের করার আগেই দারুণ এক রং ছড়িয়ে পরল পাত্রজুড়ে। সেই নির্যাসে বেরিয়ে এলো মৃদু সুগন্ধ৷ সম্রাট কৌতূহলবশত সেই পানি পান করার সিদ্ধান্ত নিলেন। পান করার কিছুক্ষণ পর তিনি অন্যদিনের চেয়ে অনেক বেশি চনমনে অনুভব করলেন৷ নিমিষেই কেটে গেল ক্লান্তি। এরপর সম্রাট খুঁজে বের করলেন সেই আজানা পাতার গাছ- ক্যামেলিয়া সিনেনসিস। সেই থেকেই চায়ের যাত্রা শুরু৷
তবে চীনজুড়ে চা পানের প্রচলন হয় ওষুধ হিসেবে। ইংল্যান্ডের নামকরা চায়ের ব্রান্ড টাইফু-এর চীনা অর্থ হলো চিকিৎসক। গবেষণা থেকে জানা যায়, পানীয় হিসেবে পান করা চায়ে ৭ শতাংশ থিওব্রোমিন ও ২৫ শতাংশের বেশি পলিফেনলস রয়েছে। থিওব্রোমিন শ্বাসকষ্টের জন্য উপকারী এবং পলিফেনলস ক্যানসার প্রতিরোধী৷ তবে চীনে বাণিজ্যিকভাবে চা পাতার উৎপাদন শুরু হয় ১৬৫০ সালে। ১৬১০ সালে ইউরোপে চায়ের প্রবেশ ঘটে পর্তুগীজদের হাত ধরে৷ এর আরও পরে ১৭০০ সালের দিকে ব্রিটেনে চা জনপ্রিয়তা পায়। আর ঠিক তারপরই আমাদের উপমহাদেশে হয় চায়ের আগমন।
নতুন বিদেশি আদবকায়দা খাদ্যাভ্যাসের মতো, চা পাতাকেও ইংরেজরা ১৮১৮ সালে ভারতবর্ষে নিয়ে আসে। তবে বাঙালি জীবনে নতুন অভ্যাস প্রবেশ করানো খুব একটা সহজ ছিলো না৷ ইংরেজ সরকার শুরুর দিকে নামমাত্র মূল্যে কখনো বা বিনা পয়সায় চা পাতা সরবরাহ করেছে। ব্রিটিশরা চেয়েছিলো, আড্ডায় গল্পে এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় চা পাতা প্রবেশ করাতে৷ ‘অসম চা কোম্পানি’ প্রতিষ্ঠার পর সংবাদপত্রে ইংরেজরা বিজ্ঞাপন দেয়া শুরু করে। বিজ্ঞাপনে চা পান করাকে ম্যালেরিয়ানাশক, প্রাণশক্তি, জীবনশক্তির আধার বলেও তারা প্রচার করে। এরপর ইংরেজরা ১৮৫৭ সালে সিলেটে মালনীছড়া চা বাগান প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু হয়।
বিশ্বজুড়ে চা তৈরির কৌশল নিয়েও শুরু হয় গবেষণা। শ্রীমঙ্গলের সাত রং চা তেমনই বৈচিত্র্যময়। দেশি-বিদেশি পর্যটক আসেন সাত রঙরে চায়ের মোহে। যদিও এর প্রস্তুত প্রণালী এখনও গোপন রয়েছে। চা পান আরও সহজ করে তুলতে ১৯০৯ সালে টমাস সুলিভ্যান টি ব্যাগ প্রবর্তন করেন। এভাবেই এগিয়ে চলেছে পাচঁ হাজার বছরের পুরোনো এক আজানা পাতার মানুষের বৈঠকখানায় প্রবেশের গল্প।
লেখক: শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা বিভাগ, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি
- মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা
- ১১ বছর পর আরেক বাংলাদেশির এভারেস্ট জয়
- দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন: মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা
- এসএমই মেলা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর থেকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার নিলেন ৭জন
- কারখানার বর্জ্য যেন নদীতে না যায়: প্রধানমন্ত্রী
- মেট্রোরেলের ভাড়ার উপর ভ্যাট আরোপ অযৌক্তিক: ওবায়দুল কাদের
- কোনো দল নয়, বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশবাসী: ভোট কুশলী প্রশান্ত
- আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ৮৫ ভাগ কাজ শেষ
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার
- সাত জেলায় ৩০০ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে ফ্রিপ প্রকল্প
- বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট
- তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে
- ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ
- আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- কর আদায়ে বহুতল ভবন নির্মাণে আগ্রহী এনবিআর
- যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
- কেএনএফ নারী শাখার প্রশিক্ষক গ্রেপ্তার
- স্মার্ট দেশ গড়ার মাধ্যমে এসডিজির অভীষ্ট অর্জন
- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার: নির্বাচন কমিশনার
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিন
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- গোপালগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু
- পদ্মশ্রী পদক গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- কোটালীপাড়ায় এক যুবককে গলা কেটে হত্যা
- ফিলিস্তিনের পক্ষে লেখায় ‘লাইক’ দেওয়ায় স্কুলশিক্ষককে চাকরিচ্যুত
- ঢাকায় কাতারের আমির
অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি - মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব