• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

আসছে ফাইভ-জি স্মার্টফোন, যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

সোমবার স্যামসাং ও ভেরাইজন (ভিজেড) যৌথভাবে ফাইভ-জি স্মার্টফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে।
আগামী বছরের প্রথমভাগে এই প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে আনবে তারা। যদিও প্রতিষ্ঠান দুটি এখনও
জানায়নি ঠিক কোন স্মার্টফোনটি ফাইভ-জি প্রযুক্তির হবে।
তবে সাধারণত বসন্তে গ্যালাক্সি-এস সিরিজের নতুন স্মার্টফোন আনার ঘোষণা দেয় স্যামসাং। এ কারণে
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সর্বশেষ গ্যালাক্সি-এস সিরিজের স্মার্টফোনটিই হয়তো ফাইভ-জি
প্রযুক্তির হবে।

স্যামসাংয়ের নাম না জানানো এই ফোনটিই হয়তো প্রথম ফাইভ-জি প্রযুক্তির স্মার্টফোন হবে না। কারণ
এই প্রযুক্তি নিয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা এখনও জানা যায়নি। তবে স্যামসাং ও ভেরাইজন
বলছে, তাদের স্মার্টফোনটি হতে যাচ্ছে এই প্রযুক্তির প্রথম ফোনগুলোর একটি।
বিশ্বে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হলো স্যামসাং এবং তাদের ফাইভ-জি
স্মার্টফোন তৈরির সিদ্ধান্ত মানে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও পিছিয়ে থাকতে পারবে না। প্রতিযোগিতায় টিকে
থাকতে হলে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ফাইভ-জি প্রযুক্তির স্মার্টফোন তৈরি করতেই হবে।
এরপরও নেটওয়ার্ক প্রাপ্তি সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ, ভেরাইজনের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক
বর্তমানে অল্প কিছু জায়গায় আছে। এছাড়া অন্য যেসব প্রতিষ্ঠানের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক রয়েছে তারাও
খুব বেশি শহরে সেবা দিচ্ছে না। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে হয়তো এ ধরনের নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি লাভ করবে।
এখন ফাইভ-জি খুব বেশি বিক্রি না হলেও ভবিষ্যতে এটা বেশ জনপ্রিয় হবে। ফোর-জি’র চেয়ে ফাইভ-জি’র
গতি অনেক বেশি। গতির পরিমাণ কতটুকু বেশি তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা
থেকে দেখা গেছে, ফোর-জি’র চেয়ে ফাইভ-জি’র গতি সর্বোচ্চ ১০০ গুণ পর্যন্ত হতে পারে। লাখ লাখ মানুষ
এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে গতি কিছুটা কমবে। তারপরও বাস্তব জীবনে ফোর-জি’র চেয়ে ১০ গুণ বেশি
গতি পাবেন ফাইভ-জি গ্রাহকরা।
ফাইভ-জি’র আল্ট্রা-লো লেটেন্সি প্রযুক্তি খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। বর্তমানে প্রচলিত
নেটওয়ার্কের সাহায্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে এক সেকেন্ডের কয়েক ভাগের এক ভাগ লেগে যায়। যদিও
এই সময়ের পরিমাণ খুবই কম তারপরও ফাইভ-জিতে কোনও সময়ই লাগবে না।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য ফাইভ-জি দারুণ একটি প্রযুক্তি। তবে এর কার্যকারিতা ব্রডব্যান্ড
গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে অনেক ফলপ্রসূ হবে।
ভেরাইজন ইতোমধ্যে ফাইভ-জি হোম ইন্টারনেট সেবা দেয়া শুরু করেছে। ক্যাবল ইন্টারনেটের পরিবর্তে এই
সেবা চালু করেছে তারা যেখানে বিনামূল্যে ইউটিউব টিভি সেবা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্রডব্যান্ডের
প্রতিদ্বন্দ্বী হতে শুরু করেছে এ ধরনের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
ফাইভ-জি’র লো লেটেন্সি প্রযুক্তি চালকবিহীন গাড়ির জন্যও খুব সহায়ক হবে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই প্রযুক্তি। এছাড়া চিকিৎসাক্ষেত্রে বিশেষ করে
টেলিমেডিসিন এবং রোবোটিক সার্জারির ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে ফাইভ-জি।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ