• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

শারীরিক সুস্থতায় কিসমিসের এতো গুণ, আগে জানতেন কী?

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২০  

রান্নাঘরে কিসমিসের ব্যবহার অনেক। তবে জানেন কি? শারীরিক সুস্থতায় কিসমিসের উপকারের কথা এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। এমনকি কিসমিস ভেজানো পানিও শরীরের জন্য অনেক উপকারী। 

কিসমিসে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনলস এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ফাইবার রয়েছে। 

কিসমিস শরীরে যেমন শক্তি যোগায় এবং রক্ত উৎপাদনেও সহায়তা করে। কিসমিসের কয়েকটি যাদুকরী উপকারীর কথা আলোচনা করা হবে।

> কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা শরীরের পরিপাক ক্রিয়ায় দ্রুত সাহায্য করে। এতে করে খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যর মতো সমস্যা দূর করে।

> সবাই ওজন কমাতে চায় না। এমন অনেক মানুষ আছেস যারা ওজন বাড়াতে চায়। আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান সেক্ষেত্রে কিসমিস হতে পারে আপনার পরম বন্ধু।

> কিসমিসে ক্যাটেচিন নামক একধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরে ভেসে বেড়ানো ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলোকে লড়াই করে নিঃশেষ করে। 

শরীরের এই ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলো ক্যান্সার সেলের স্বতঃস্ফুর্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং মেটাস্টাসিসেও সাহায্য করে। 

কিসমিস প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে রাখলে শরীরে ক্যাটেচিন এর মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়, ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

> কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে থাকা উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিসমিস শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

> কিসমিসে ভিটামিন এবং খনিজের সঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস এবং অন্যান্য যৌগগুলোর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। 

এগুলো আমাদের সিস্টেমে ফ্রি র‌্যাডিকালগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে, এগুলোকে স্থিতিশীল করতে এবং তাদের শ্বেত রক্তকণিকাসহ আমাদের কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির কারণ হতে রোধ করে যা আমাদের ইমিউন সিস্টেম গঠন করে।

> কিসমিসে পাওয়া যায় আরো এক উপাদান ক্যালসিয়াম। যা হাড় ও দাঁতের জন্য খুব প্রয়োজন। এছাড়াও বোরন নামক এক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টও কিসমিসে থাকে। 

যা সঠিকভাবে হাড় গঠন হতে সাহায্য করে এবং ক্যালসিয়ামকে তাড়াতাড়ি শুষে নিতে শরীরকে সাহায্য করে। মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট শরীরে খুব অল্প পরিমাণে দরকার বলেই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত কিন্তু শরীরে এর উপস্থিতির গুরুত্ব অসীম। 

> ঘুম ভালো না হলে শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক অসুস্থতাও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে যাদুকরী ভূমিকা পালন করে কিসমিস। কিসমিসে যে আয়রন রয়েছে তা ভালো ঘুমে সাহায্য করে। 

আয়রন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা শুধু হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে না বরং বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে।

কিসমিস মানসিক অবসাদ দূর করতে কি ধরণের ভূমিকা পালন করে সে সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হয়নি তবে কিসমিস ভালো ঘুমের ব্যবস্থা করে এবং শরীর ও মন মেজাজ দুটোকেই শান্ত রাখে। 

যা শরীরের পরিপাক ক্রিয়ায় দ্রুত সাহায্য করে। এতে করে খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যর মতো সমস্যা দূর করে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ