গোপালগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে শিশু ও তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা

গোপালগঞ্জে ধর্ষণের শিকার শিশু ও তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসকরা এ পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক চৌধুরী ফরিদুল ইসলাম বলেন, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানা পুলিশ এক শিশু ও এক তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

মামলার বরাত দিয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি একেএম এনামূল কবির বলেন, শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী সরদারপাড়া গ্রামে ৬ বছরের এক শিশুকে প্রতিবেশী শহিদ মোল্লার বখাটে ছেলে হাসান মোল্লা (১৯) ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে শনিবার রাতে টুঙ্গিাপাড়া থানায় হাসানকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতারে পুলিশের ৩টি টিম অভিযান শুরু করেছে।

মামলার বরাত দিয়ে কোটালীপাড়া থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হায়াতুর রহমান জানিয়েছেন, কোটালীপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়ি গ্রামের তারিক খন্দকারে (২৬) সঙ্গে ওই তরুণীর ৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ সুবাদে তারিক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চার বছর ধরে জোর করে ধর্ষণ করে আসছে। কিছু দিন আগে বিয়ের দাবিতে ওই তরুণী তারিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সম্প্রতি তারিক বিয়ে করেছে। এ সংবাদ পেয়ে গত ১১ জুন ওই তরুণী কোটালীপাড়া থানায় তারিককে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হায়াতুর রহমান বলেন, ওই তরুণীর বাবার মালিকানাধীন ডাইং মিলে চাকরি করতো তারিক। সে সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জেনেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। তারিককে গ্রেফতারের জন্য আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।