ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় হোমিওপ্রতিবিধান
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০১৯
ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা
|
ডেঙ্গু বহু ব্যাপক ও অল্পদিন স্থায়ী জ্বর বিশেষ। আমেরিকায় একে ব্রেকবোন ফিভার বা হাড়ভাঙা জ্বর বলে। বর্ষার শেষে মশার মাধ্যমে এই জ্বর বিস্তার লাভ করে।
এটি একটি সংক্রামক ট্রপিক্যাল ডিজিজ, যা ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে হয়। এই রোগটি সর্বপ্রথম স্কটল্যান্ডের ডান্ডিতে মহামারী আকারে দেখা দেয়। তাই এ জ্বরকে ডান্ডি জ্বর বলেও ডাকা হয়। এ জ্বরকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়- সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর ও হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর।
ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশা কামড়ানোর পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে সাধারণত রোগের উপসর্গ দেখা যায়। কিছু কিছু ডেঙ্গু রোগী কোনো উপসর্গ ছাড়া সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।
ডেঙ্গু জ্বরে যে উপসর্গগুলো দেখা যায় তার মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ও গিঁটে ব্যথা ও ত্বকে র্যাশ যা হামজ্বরের সমতুল্য। স্বল্পক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে পরিণত হয়, যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অণুচক্রিকার কম মাত্রা ও পরবর্তীতে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে পরিণত হয়।
বেশিরভাগ ডেঙ্গু জ্বরই সাত দিনের মধ্যে সেরে যায় এবং অধিকাংশই ভয়াবহ নয়। প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান, বিশ্রাম ও প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার গ্রহণ করা। শরীরে হাড়ভাঙা বেদনা নিয়ে এ জ্বর হয়। এ কারনে এ জ্বরের নাম হয়েছে ডেঙ্গু জ্বর।
যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়
সহসা সামান্য শীত ও চোখমুখে লালিমাসহ প্রবল জ্বর হয়। জ্বর ১০২ থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। সর্বশরীরে বিশেষত চক্ষুগোলকের উপরিভাগে, চক্ষুগোলক, কোমর ব্যথা করে। রোগী নিদারুণ যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়ে। জিহ্বা শুষ্ক, ময়লাবৃত, বিবমিষা বমি ভাব কোষ্ঠবদ্ধতা উপস্থিত হয়। চোখ রক্তবর্ণ ধারণ করে। মুখে ফোলা ভাব দেখা দেয়।
এভাবে দু’তিন দিন চলে পরে চতুর্থ দিনে পুনরায় জ্বর বেড়ে যায়। সঙ্গে হামের মতো দেখা যায়। ২/৩ দিন পরে মিলিয়ে যায়। কিন্তু জ্বর শেষে অত্যন্ত দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, মানসিক অবসাদ দেখা দেয়। ডেঙ্গু জ্বরে উত্তাপের তুলনায় নাড়ির গতি কম থাকে। রক্তে শ্বেত কণিকার অভাব দেখা দেয় ও এসিনোফিলের পরিমাণ বেড়ে যায়। অনেক সময় এই অসুখের সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও বাতজ্বরের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সমস্যা হয়।
এ জ্বর দু’ভাগে ভাগ করা যায়-সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর ও হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর।
হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর
ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়, ত্বক ছুঁলে আঁঠালো ও শীতল অনুভূত হয়। সার্বক্ষণিক ভীষণ পেটব্যথা থাকে। প্রথম দিকে মাড়ি, নাক, মুখ বা ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হতে পারে। ত্বকের নিচে কালো বর্ণের চাকা চাকা দাগ হতে পারে। শিশুরা অনবরত কাঁদতে থাকে। খুব পিপাসা পায়। শ্বাসকষ্ট হতে পারে, মাঝে মধ্যে বমিও হয়। বমিতে রক্ত নাও থাকতে পারে। কালো বর্ণের পায়খানা হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের জটিল অবস্থাকে বলে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। এ অবস্থায় হৃৎকম্পন বেড়ে যায়। ব্লাডপ্রেসার কমে যায়। হাত-পাসহ সারা শরীর বরফের মতো শীতল হয়ে যায়। একপর্যায়ে রোগী মূর্ছা যেতে পারে। রোগীর খুব অস্থিরতাবোধ, একই সঙ্গে ঘুম ঘুম ভাব দেখা যায়।
করণীয়
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে উচ্চ তাপমাত্রা রোধ করতে শরীর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুছে দিতে হবে। শরীর বেশি ঠাণ্ডা মনে হলে খাবার স্যালাইন দিতে হবে। হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। তাকে পূর্ণ বিশ্রামে রেখে বেশি করে পানি খেতে দিতে হবে।
হোমিওপ্রতিবিধান
রোগ নয়, রোগীকে চিকিৎসা করা হয়, তাই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর রোগের পুরো লক্ষণ নির্বাচন করতে পারলে হোমিওতে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
হোমিও চিকিৎসা
অভিজ্ঞ চিকিৎসক যেসব ওষুধ ব্যবহার করেন, একোনাইট, বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া, রাসটক্স, ইউপেটেরিয়াম পার্ফ, আর্সেনিক অ্যালবাম, কার্বোভেজ, ইপিকাক, বাক্স, সালফারসহ আরো অনেক ওষুধ লক্ষণের উপর আসতে পারে, তাই ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে অভিজ্ঞ হোমিওচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহতের জেরে গোপালগঞ্জ উত্তাল
- জাতীয় শিশু দিবসের পুরস্কার বিতরন
- গোপালগঞ্জের হোটেল রোস্তরার খাবারের নমূনা সংগ্রহ শুরু
- বিশ্বকাপের আগে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ
- বাগেরহাটে সিএমএসএমই খাতে ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ
- গাজায় নিজেদের ট্যাংক হামলায় পাঁচ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত
- বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে শি-পুতিনের আহ্বান
- শেখ হাসিনার সততা বিশ্বে আজ প্রশংসনীয়: কাদের
- ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন
- ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুন
- দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা
- একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
- রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার
- ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট
- নতুন অধ্যায়ের
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে রয়েছে - ডোনাল্ড লু - বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু
- রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না
- সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা
- নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
- কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
- জনগণকে বিজয় মালা পরালেন সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান
- বিকল পিকআপের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, সড়কেই নিথর সোহেল
- প্রেমে ব্যর্থ হয়ে পৃথিবী থেকে দুই বন্ধুর চিরবিদায়
- গোপালগঞ্জে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকের গুলিতে যুবক নিহত
- ৫৮১ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ, সাবেক এমপি পোটনসহ ৫ জন কারাগারে
- রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা ইরানের
- ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস
- পিছিয়ে পড়া নারীরউন্নয়নে বাংলাদেশের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়:নাটালিয়া
- উপজেলা নির্বাচন: ৯৯৯-এ জানানো যাবে অভিযোগ
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- গোপালগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু
- পদ্মশ্রী পদক গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- কোটালীপাড়ায় এক যুবককে গলা কেটে হত্যা