• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

উত্তাল ভারত, নিহত ৩

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯  

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে রাজধানী দিল্লি, উত্তর প্রদেশ রাজ্য, ব্যাঙ্গালোর শহর ও কর্ণাটক রাজ্যের কিছু অংশে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই উত্তর প্রদেশ, ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ, পাটনা, চন্ডিগড়, মুম্বাই, দিল্লি, এবং অন্যান্য শহরগুলিতে লাখ লাখ বিক্ষুব্ধ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশ আহত হয়েছে কয়েকশ।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল দেশটির লোকসভায় পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। জায়গায় জায়গায় তা সহিংস রূপ নেয়। বৃহস্পতিবারও অন্তত ১০টি রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বেশিরভাগ স্থানেই বিক্ষোভের অনুমতি ছিলো না। কিন্তু তার পরেও শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।

ব্যাঙ্গালুরুতে কারফিউ ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সহিংস বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এসময় পুলিশের গুলিতে দুজন বিক্ষোভকারী নিহত হন। দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ পুলিশসহ আহত হন অনেকে। সেখানে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ রামাচন্দ্র গুহাকে টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের মাঝখানেই পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।

ইন্ডিয়া ট্যুডে এক প্রতিবেদনে বলছে, লক্ষ্ণৌতে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে থানায় হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এসময় পুলিশ গুলি চালালে এক বিক্ষোভকারী নিহত হন, গুরুতর আহত হন অন্তত ৩ জন।

এদিকে রাজধানী দিল্লিতে কয়েকশ’ অ্যাক্টিভিস্ট এবং বিরোধীদলীয় নেতাকে সাময়িকভাবে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। দিল্লি-হরিয়ানার মধ্যকার রাস্তা আট ঘণ্টা বন্ধ ছিলো। বিমানের বেশ কিছু ফ্লাইটও বিলম্বিত হয়েছে।

টানা তৃতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবারও রাজপথে নেমে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসিবিরোধী বিক্ষোভে কলকাতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিক্ষোভে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করে মমতা বলেন, বিজেপি দেশের একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য খুলির ক্যাপ কিনছে।

গত ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল পাস হয়। বিলটি পাস হওয়ার পরদিন রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় সেটি আইনে পরিণত হয়। নতুন আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, পার্সি এবং জৈন সম্প্রদায়ের সদস্যরা সে দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে এ আইনে মুসলিম শরণার্থীদের ব্যাপারে একই ধরনের বিধান রাখা হয়নি।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ