• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

বিমান বিধ্বস্ত : ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইরানকে

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২০  

ইরানের ক্ষেপণাস্তের হামলায় গত ৮ জানুয়ারি ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তেহরানের ওপর আরো চাপ বাড়ালো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এ ঘটনায় তারা এবার তেহরানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। এছাড়া যত দিন পর্যন্ত ইরান এই ঘটনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর না দেবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের ছাড়াও হবে না বলে জানা গেছে।

তেহরানের ওই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৬৭ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের ওই বিমানে ইরান ছাড়াও ৫টি দেশের যাত্রী ছিল। বৃহস্পতিবার লন্ডনস্থ কানাডার দূতাবাসে মিলিত হয়েছিলেন কানাডা, ইউক্রেন, সুইডেন, আফগানিস্তান ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা। সেখানে তারা নিহত বিমান আরোহীদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করেন। পরে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তেহরানকে।একই সঙ্গে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের সুযোগ করে দিতে হবে। যে তদন্তে অংশ নেবেন এই পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিরা।

প্রতিনিধিরা আরো বলেন, শেষ পর্যন্ত বিমানে হামলা চালানোর বিষয়টি ইরান স্বীকার করলেও এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর তারা দিচ্ছে না। যতদিন পর্যন্ত সেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না, ততদিন তেহরানের উপর চাপ বজায় রাখা হবে।

সম্প্রতি বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন ইরানি এলিট গার্ড আল কুদসের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। এর বদলা নিতে গত ৮ জানুয়ারি ইরাকের দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই তেহরানের খামেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি।

প্রথমে ইরান জানায়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি ভেঙে পড়েছে। কিন্তু কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দাবি করতে থাকে যে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাতেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তাদের চাপে অবশেষে তেহরান বিমান ধ্বংসের দাবি স্বীকার করে নেয়। এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে দেশটি বলে, ‘মানবিক ভুলে’ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে ইরান সরকার। কিন্তু এরপরও ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের নীতিতে অটল রয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ