• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

গণপূর্ত মন্ত্রণালয় হবে দুর্নীতি, ভোগান্তি ও হয়রানিমুক্ত

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

‘গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোয় কোনও দুর্নীতি ও অনিয়ম থাকতে পারবে না। আমি পরিচ্ছন্ন থাকবো এবং আমার সঙ্গে যারা কাজ করবেন তাদেরও পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। মেয়াদ শেষে আমার মন্ত্রণালয়কে দেখতে চাই স্বচ্ছ; দুর্নীতি, ভোগান্তি ও হয়রানিমুক্ত। এটাই আমার অঙ্গীকার।’ নিজ মন্ত্রণালয় প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।  

এসময় তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা আমি সর্বোতভাবে ধারণ করি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থানে থেকে কাজ করে যেতে চাই। কোনও অনিয়মকে বরদাশত করা হবে না।’

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আমার প্রথম লক্ষ্য মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট ১২টি প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি বাড়ানো। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও নিয়মকে কঠোরভাবে অনুসরণ এবং জমে থাকা কাজ দ্রুত শেষ করা।’

প্রসঙ্গত, শ ম রেজাউল করিম একাধারে একজন আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। কলেজছাত্র থাকার সময় রাজনীতি শুরু করেন। পরে দায়িত্ব পান খুলনা জেলা মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে। খুলনা দৌলতপুর কলেজের নির্বাচিত ভিপি এবং খুলনা সরকারি কৃষি কলেজের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি।

বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন রেজাউল করিম। প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েই পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশার পাশাপাশি বিভিন্ন নির্বাচিত পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক। বার কাউন্সিলের দুই বার নির্বাচিত সদস্য ও অর্থ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আদালত অঙ্গনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোয় তার সরব উপস্থিতি ছিল। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং জেল হত্যা মামলার প্যানেল আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে এক-এগারোর সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রেজাউল করিম।

সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছিলেন এই রাজনীতিবিদ। একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজনীতি এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

এসময় গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের কাজ জমি, আবাসন এসব সংক্রান্ত। এসব খাতে কাজ করাটাই একটা চ্যালেঞ্জ। আমি প্রতিটি চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে উৎরাতে চাই। আমি চাই রাজউকে মানুষের বাড়ি ও স্থাপনার নকশা অনুমোদনের ভোগান্তি কমাতে এবং টেবিল টু টেবিল না ঘুরে অনলাইন বা অটোমেশন সিস্টেমে তা সম্পন্ন করা, দেড়শ’ দিনের জায়গায় ৫৩ দিনে নকশা অনুমোদন করা, ১৬টি প্রতিষ্ঠানে ধরনা দেওয়ার জায়গায় অপ্রয়োজনীয় ১২টি বাদ দিয়ে চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন করা।’  আগামী ১মে থেকে কোথাও ম্যানুয়ালি আবেদন নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।  

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনসাধারণের জন্য বাসস্থান সমস্যা সমাধানের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কয়েকটি বিশাল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেগুলো দ্রুতই বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়ে যাবে। অদূর ভবিষ্যতে সরকারের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। একজনও আবাসন সমস্যায় ভুগবেন না। পর্যায়ক্রমে সাধারণ জনগণের জন্যও এই ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করার চিন্তা আছে।’  

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবকিছু দিয়ে লড়াই করার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমার বাবা ৭০-এ নাজিরপুর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। মামা মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার, খালু মুজিব বাহিনীর কমান্ডার, বড় ভাইসহ অন্যান্য ভাইরাও মুক্তিযোদ্ধা। পরিবারের সবাই দেশ ও মানুষের জন্য যার যার জায়গা থেকে কাজ করে গেছেন। আমি নিজেও জনগণের জন্য নিজেকে উজার করে দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে চাই।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ