• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

অনিয়ম বরদাশত না করার হুঁশিয়ারি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর ভাঙণরোধে থেকে নগরীর বেলতলা থেকে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া এলাকা রক্ষা এবং নদীর মধ্যে জেগে ওঠা চর অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। 

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর বেলতলার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে এবং দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে এই কাজের উদ্ধোধন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম।                                                                                                                                                                                                  এ সময় তিনি কাজের গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল জোনের প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার আলী হাওলাদার, কীর্তনখোলা নদীর ভাঙণরোধে বেলতলা থেকে চরবাড়িয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্পের পরিচালক ও পনি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রমজান আলী প্রমাণিক এবং খুলনা শিপইয়ার্ডের জিএম (প্লানিং) নৌ বাহিনীর ক্যাপ্টেন আল ফারুকসহ সংশ্লিস্টরা উপস্থিত ছিলেন। 
 প্রকল্পের পরিচালক রমজান আলী প্রামাণিক জানান, এই প্রকল্পের আওতায় নগরীর বেলতলা থেকে চরবাড়িয়া পর্যন্ত ৪.৫১ কিলোমিটার এলাকায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার জিও ব্যাগ ও ১২ লাখ ২০ হাজার সিসি ব্লক ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে কীর্তনখোলা নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ এবং নদীর অপরপাশে চরবাড়িয়া পয়েন্টে ৫.৬০ কিলোমিটার চর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা রক্ষা করা হবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৯ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষে হলে কীর্তনখোলা নদীর ভাঙণের কবল থেকে রেহাই পাবে স্থানীয় মানুষের সম্পদ। পাশাপাশি নদীর নাব্যতা সংকট দূর হবে বলেও জানান প্রকল্প পরিচালক। 

প্রকল্পে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। এই কাজে কোনো অনিয়ম হলে স্থানীয় জনসাধারণকে প্রতিবাদ এবং গণমাধ্যমেকে সেগুলো তুলে ধরার করার আহ্বান জানান তিনি। 

নদী ভাঙণকবলিত স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বিগত সরকার একনেকে ৩৩১ কোটি ২৩ লাখ টাকার এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ