বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৪৭ বছর আজ
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৪৭তম বার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত ও ভুটান মুক্তিযুদ্ধরত বাংলাদেশকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছিল।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই দিনটি এক অবিস্মরণীয় দিন। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল সে প্রেক্ষাপটে ভারতের এ স্বীকৃতি ছিল অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ সরকার এবং বাঙালি জাতিকে এই স্বীকৃতি এক বিশাল উদ্দীপনায় উজ্জীবিত করেছিল। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বৈধতা দিয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ত্বরান্বিত করেছে। সেদিন ভারতের লোকসভায় দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, 'স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে বিশাল বাধার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করার পর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির বক্তব্য শেষ না হতেই ভারতের সংসদ সদস্যদের হর্ষধ্বনি আর 'জয় বাংলাদেশ' ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে লোকসভা।
সেদিন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিত্ররাষ্ট্র ভারতের জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, 'ভারতের সৈন্যবাহিনীর জওয়ানরা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশের মাটি থেকে হানাদার শত্রুদের নির্মূল করার জন্য আজ যুদ্ধ করে চলেছে।' যুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোতে তখন বাংলাদেশের পাশে একমাত্র ভারত সরকারই পরম বন্ধুর মত এসে দাঁড়িয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের বিপন্ন মানুষদের আশ্রয় দেবার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের সব রকম সহযোগিতা করেছে এবং পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যাতে মুক্ত করা যায় সে ব্যাপারেও দেশটির সরকার ছিল তৎপর। সে কারণেই প্রবাসী সরকার ভারতের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী ছিলেন সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান।
নিজেদের পরাজয় ঠেকাতে পাক হানাদার বাহিনী যুদ্ধের মাঠে এবং পাকিস্তান সরকার কূটনৈতিক পর্যায়ে সর্বশক্তি দিয়ে লড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু যুদ্ধের মাঠের মতো কূটনৈতিক মাঠেও একের পর এক তাদের পরাজয় হচ্ছিল। এদিন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাক-ভারত যুদ্ধ বিরতি সংক্রান্ত মার্কিন প্রস্তাবের ওপর সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় দফা ভেটো দেয়। সোভিয়েত সরকারের একজন মুখপাত্র মস্কোতে বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন উদাসীন থাকতে পারে না। কারণ, এখানে সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করে নিউজউইক। ওই নিবন্ধে বলা হয়, এই সংঘাত ঠেকাতে বৃহৎ্ শক্তিগুলো কোন তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ নিচ্ছে না। ৪০০ কোটি ডলার খরচ করে ওয়াশিংটন ইয়াহিয়াকে রক্ষার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তা যথেষ্ট ফলপ্রসূ হচ্ছে না। এদিকে, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম নিউজউইক পত্রিকাকে বলেন, 'আমরা যে স্বাধীন হচ্ছি তা দেখার দূরদৃষ্টি যদি ইয়াহিয়ার থাকে, তাহলে তার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা হতে হবে। সে জন্য প্রথমেই তাকে শেখ মুজিবকে মুক্ত করে দিতে হবে এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আর এটা শান্তিপূর্ণভাবে করতে না চাইলে আমরা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাব।'
রাজনীতির মাঠে যে বীরত্ব তিনি দেখাচ্ছিলেন সেই একই বীরত্বগাঁথা প্রতিফলিত হচ্ছিল যুদ্ধের ময়দানে। সেদিন ভোর থেকেই পাক নবম ডিভিশনের পলায়ন পর্ব শুরু হয়। যশোর-ঢাকা সড়কে ভারতীয় বাহিনী ঘাঁটি করায় বাধ্য হয়ে পাক নবম ডিভিশনের একটি অংশ পালায় মাগুরা হয়ে মধুমতি নদী ডিঙ্গিয়ে ঢাকার পথে। কুষ্টিয়ার দিক দিয়েও পালালো ছোট্ট একটি অংশ। পালাবার পথে সবকটা বাহিনীই রাস্তার ওপরের ব্রিজগুলি ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করে। এদিকে, লাকসাম, আখাউড়া, চৌদ্দগ্রাম, হিলিতে মুক্তিবাহিনী দৃঢ় অবস্থান নেয়। পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধে কুলিয়ে উঠতে না পেরে পিছু হটে বিকল্প অবস্থান নেয়। রাতে আখাউড়া ও সিলেটের শমসেরনগর যৌথবাহিনীর অধিকারে আসে। এদিন রাতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজি ঝিনাইদহ অবস্থান থেকে সরে এসে তার বাহিনীকে ঢাকা রক্ষার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ঢাকার পথে পেছনে এসে মেঘনার তীরে সৈন্য সমাবেশ করার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু তা আর তাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কারণ ততক্ষণে ঢাকা-যশোর সড়ক মিত্রবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।
- মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা
- ১১ বছর পর আরেক বাংলাদেশির এভারেস্ট জয়
- দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন: মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা
- এসএমই মেলা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর থেকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার নিলেন ৭জন
- কারখানার বর্জ্য যেন নদীতে না যায়: প্রধানমন্ত্রী
- মেট্রোরেলের ভাড়ার উপর ভ্যাট আরোপ অযৌক্তিক: ওবায়দুল কাদের
- কোনো দল নয়, বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশবাসী: ভোট কুশলী প্রশান্ত
- আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ৮৫ ভাগ কাজ শেষ
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার
- সাত জেলায় ৩০০ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে ফ্রিপ প্রকল্প
- বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট
- তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে
- অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
- এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে
- ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ
- আজ জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- কর আদায়ে বহুতল ভবন নির্মাণে আগ্রহী এনবিআর
- যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
- কেএনএফ নারী শাখার প্রশিক্ষক গ্রেপ্তার
- স্মার্ট দেশ গড়ার মাধ্যমে এসডিজির অভীষ্ট অর্জন
- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হলেই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার: নির্বাচন কমিশনার
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন
- সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক শেখ হাসিনা :কাদের
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: শেখ হাসিন
- জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন
- গোপালগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
- টুংগীপাড়ার বাবুল শেখের অপকর্মের তথ্য ফাঁস
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের পৃথক দুই মামলা
- চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম
- টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যাবে না
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বৃহস্পতিবার সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে
- গোপালগঞ্জের স্বামী হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু
- পদ্মশ্রী পদক গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- কোটালীপাড়ায় এক যুবককে গলা কেটে হত্যা
- ফিলিস্তিনের পক্ষে লেখায় ‘লাইক’ দেওয়ায় স্কুলশিক্ষককে চাকরিচ্যুত
- ঢাকায় কাতারের আমির
অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি - মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব