• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

যশোরে সেই ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, পুলিশের সোর্সসহ আটক ৩

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

যশোরের শার্শায় ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার গভীর রাতে শার্শা থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। আসামিদের মধ্যে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। মামলার বিবরণে একজন আসামির পরিচয় অজ্ঞাত উল্লেখ করা হয়েছে। আটক তিনজন হলেন পুলিশের সোর্স শার্শার চটকপোতা গ্রামের কামরুল ইসলাম, লক্ষনপুর গ্রামের ওমর আলী ও আব্দুল লতিফ। 

তবে ধর্ষণের শিকার ওই নারী প্রথমে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খাইরুলও ধর্ষণ করেন। কিন্তু পরে যশোরের পুলিশ সুপার এসআই খাইরুলকে ওই নারীর মুখোমুখী করলে ওই নারী বলেন যে, এসআই খাইরুল ধর্ষণের সময় সেখানে ছিলেন না। সে কারণে মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি। শার্শা থানার ওসি মশিউর রহমান মামলা এবং তিনজন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খাইরুল, তার সোর্স কামারুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই নারী। ধর্ষণের পরীক্ষা করানোর জন্য তিনি নিজেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে যান এবং সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এক সময় তার স্বামী চোরাচালানীদের পণ্য বহণের কাজ করতেন। কিন্তু এখন তিনি কৃষিকাজ করেন। মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে এসআই খাইরুল, তার সোর্স কামারুল এবং গ্রামের আরো দুইজন ব্যক্তি তার বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। গভীর রাতে তিনি দরজা খুলতে না চাইলে ওই ব্যক্তিরা বলেন, তারা তার স্বামীর মামলার ব্যাপারে কথা বলতে এসেছেন। একথা শুনে তিনি দরজা খোলেন। ওই নারী বলেন, দারোগা খাইরুল তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে বলেন যে, টাকা দিলে তার স্বামীর মামলা তিনি হালকা করে দেবেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি হয় তার। এর এক পর্যায়ে খাইরুল ও কামারুল তাকে জোর করে ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে চলে যান। ওই নারী বলেন, সকালে বিষয়টি এলাকার লোকজনকে জানালে তারা মামলা করার এবং হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। তিনি থানায় না গিয়ে সোজা হাসপাতালে যান। 

 

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আরিফ আহম্মেদ বলেন, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে ধর্ষণের পরীক্ষা করাতে চান। সেখান থেকে ওই নারীকে বলা হয়, পুলিশের মাধ্যমে না আসলে এ ধরণের পরীক্ষা করানো সম্ভব না। তখন ওই নারী পুলিশকে বিষয়টি জানালে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান তাকে পুলিশ সুপারে কাছে নিয়ে যান।

যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, তিনি ওই নারীর সাথে কথা বলেছেন। এক পর্যায়ে তিনি অভিযুক্ত এসআই খাইরুলসহ চারজনকে ওই নারীর সামনে হাজির করেন। তখন ওই নারী বাকি তিনজনকে শনাক্ত করতে পারলেও এসআই খাইরুলক শনাক্ত করতে পারেননি। পুলিশ সুপার বলেন, অভিযোগটি গুরুতর। এ ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক, কেউই রেহাই পাবে না। 

 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ