• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

চিপসের প্যাকেটে খেলনা : বিএসটিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৯  

চিপসের প্যাকেটে খেলনা থাকার বিষয়টি তদন্ত করে ১৪ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটকে (বিএসটিআই) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চিপসের প্যাকেটে শিশুদের খেলনা না ঢোকাতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না -তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, এম এম ইস্পাহানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও হেড অব মার্কেটিং এবং ইনগ্রিন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও হেড অব মার্কেটিংকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান।

আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, শিশুরা চিপস খাওয়ার সময় অবচেতন মনে খেলনাটাও খেয়ে ফেলার চেষ্টা করে। অনেক সময় তাদের পেটের মধ্যে খেলনা ঢুকে যায়। এটা খুবই অশনি সংকেত। প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর। এ কারণে রিট করেছি।

রিট আবেদনে চিপস প্যাকেটের ভেতরে শিশু খেলনা না ঢুকাতে শিশুখাদ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না -এ মর্মে রুল জারির আর্জি জনানো হয়েছে। পাশাপাশি যারা চিপসের প্যাকেটে খেলনাসহ বাজারজাত করেছে সেসব প্যাকেট প্রত্যাহার করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

মনিরুজ্জামান জানান, অ্যাবসেন্ট মাইন্ডে (অন্য মনস্ক অবস্থায়) বাচ্চারা যখন চিপস খায় তখন খেলনাটি তাদের পেটের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। এটা খুবই অ্যালার্মিং (ভীতিকর)। প্রতিবেশি দেশে এমন ঘটনায় দুটা বাচ্চা মারা গেছে বলে আমরা প্রতিবেদন পেয়েছি। আমরা আশঙ্কা করছি যে, আমাদের দেশের কোনো শিশু চিপসের প্যাকেটে যে প্ল্যাস্টিকের খেলনা থাকে সেটা খাওয়ার পরে হয়তো এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

রিটকারী আইনজীবী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা এম এম ইস্পাহানির ‘মাইটি চিপস’ ও ইনগ্রিনের ‘ডরে ডরে চিপস’র প্যাকেটে খেলনা পেয়েছি। হয়ত আরও আছে যেগুলো অগোচরে রয়ে গেছে। কোনো কোম্পানি চিপসের প্যাকেটের মধ্যে খেলনা দিয়ে মার্কেটিং করতে না পারে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ