• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়ক জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত হচ্ছে

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে ৪-লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরন’ শীর্ষক প্রকল্পের একটি প্যাকেজসহ একই প্রকল্পের পূর্ত কাজের অপর একটি প্যাকেজের কাজ বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার সংস্থা নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার।  

দুটি প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে প্রায় দুই হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের দুটি প্যাকেজই বাস্তবায়ন করবে আফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।

এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক ক্রয় প্রস্তাব আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়,দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বিমসটেক রোড করিডোর-১ এবং সার্ক  মহাসড়ক করিডোর-১ এর অংশ হিসেবে আশুগঞ্জ নদীবন্দরের সঙ্গে আখাউড়া স্থলবন্দরকে সরাসরি সংযুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৯মার্চ বাংলাদেশ সরকার এবং ভারতের এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে স্বাক্ষরিত ২য় ভারতীয় নমনীয় ঋণ চুক্তির আওতায় আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধারখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে ৪-লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরন প্রকল্পটি গৃহীত হয়। উক্ত প্রকল্পে মহাসড়কটির দুই পাশে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের পৃথক দুটি লেনের সংস্থান রেখে মূল সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরনের কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ রেখে তা ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন মেয়াদে অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক ২০১৭ সালে ১ আগস্ট প্রকল্পের প্রশাসনিক আদেশ জারি করা হয়। অনুমোদিত ডিপিপি অনুযায়ী মোট ব্যয়ের মধ্যে জিওবি ১৩১২০৮ দশমিক ০৩ লক্ষ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য (এক্সিম ব্যাংক ভারত) ২২৫৫৭৬ দশমিক ৯৭ লক্ষ টাকার সংস্থান রয়েছে।

প্রকল্পের আওতাধীন সড়কের দুই পাশে ধীর গতির যানবাহন চলাচলের জন্য পৃথক দুটি লেনসহ মূল সড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরন করা হবে। নির্মান কাজের মধ্যে ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ক, ৩৬টি কালভার্ট, ১৬টি সেতু, ১০টি ফুটওভার ব্রীজ, ৩টি আন্ডারপাস, ২টি রেলওয়ে ওভারপাস, ১টি অফিস বিল্ডিং নির্মান কাজ অন্তভর্’ক্ত রয়েছে। নির্মান কাজের সুবিধার্থে প্রকল্পের আওতাধীন ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার সড়ককে তিনটি সড়ক নির্মান প্যাকেজে ভাগ করা হয় যা অনুমোদিত ডিপিপি’র প্রকিউরমেন্ট পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত আছে।

প্রকল্পের প্রকিউরমেন্ট ও সড়ক নির্মান প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ক প্যাকেজ-১ এর আওতায় আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সরাইল পর্যন্ত (ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়ক অংশ) ১২ দশমিক ২১১ কিলোমিটার। ওয়ার্ক প্যাকেজ-২ সরাইল থেকে ধরখার (কুমিল্লা-ব্রাক্ষনবাড়িয়া) পর্যন্ত (কুমিল্লা-ব্রাক্ষনবাড়িয়া জাতীয় মহাসড়কের অংশ) ২৭ দশমিক ০৫৪ কিলোমিটার এবং ওয়ার্ক প্যাকেজ-৩ এরআওতায় ধরখার থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার। এ জন্য মোট ব্যয় হবে একহাজার ৮৭৩ কোটি ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে প্রায় চার বছর লাগবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে সরকারের রাজস্ব খাত থেকে প্রকল্পের রক্ষনাবেক্ষন করা হবে।

এছাড়া প্রকল্পের বিভিন্ন পূর্ত কাজে আরো ৫৭২ কোটি ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় হবে। ক্রয় প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ চুক্তি স্বাক্ষর করবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ